নদী থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাঁচ বছরের মেয়ে। সেই রাগে মেয়েকে মারধরের পর নদীতে ছুড়ে ফেলে দিলেন মা। চোখের পলকে তলিয়ে গেল খুদে। গত মাসে কর্নাটকের হাভেরিতে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই মহিলা ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
শনিবার হাভেরির পুলিশ সুপার যশোধা ভান্তাগোড়ি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে হাভেরির রানেবেন্নুর তালুকের গুড্ডা আনভেরি এলাকায়। অভিযোগ, ওই মহিলা ও তাঁর প্রেমিক মিলেই তুঙ্গভদ্রা নদীতে ফেলে দিয়ে খুন করেছেন ওই খুদেকে। অভিযুক্ত মহিলার নাম জ্যোতি। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অন্নপ্পা নামে এক যুবকের সঙ্গে জ্যোতির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এর পরেই তিন সন্তানের মা জ্যোতি স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে আলাদা থাকতে শুরু করেন। সঙ্গে নিয়ে যান ছোট মেয়েকেও।
অভিযোগ, সম্প্রতি জ্যোতিরা ভয় পাচ্ছিলেন, পাঁচ বছরের ওই খুদে তাঁদের সম্পর্কের কথা আশপাশের সকলকে বলে দেবে। এই ভয়ে শিশুটিকে প্রায়ই নির্যাতন করতে শুরু করেন দু’জনে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত মাসের শুরু থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। একদিন মেয়ের হাত বেঁধে গায়ে ফুটন্ত জলও ঢেলে দেন জ্যোতি। সারা শরীর পুড়ে গেলেও জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। দু’দিন ওই অবস্থাতেই বাড়িতে ফেলে রাখা হয়েছিল তাকে। শেষমেশ গত ২ অগস্ট শিশুটিকে তুঙ্গভদ্রা নদীতে ফেলে দেন মা ও তাঁর প্রেমিক।
গত মাসেই গুট্টাল থানার একটি এলাকায় নদী থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় সম্প্রতি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুর বাবা অর্থাৎ জ্যোতির স্বামী। অভিযোগের ভিত্তিতে অন্নপ্পা এবং জ্যোতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।