rape

Rape: যৌনতায় অভ্যস্ত হলেই সেই মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধ কমে না, বলল কেরল হাই কোর্ট

বিচারপতি বলেন, বনরক্ষীর চোরাশিকার করা বা সরকারি কোষাগারের রক্ষীর লুঠেরা হওয়ার চেয়েও কোনও বাবার পক্ষে মেয়েকে ধর্ষণ করা বড় অপরাধ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও মহিলা যৌনতার অভ্যস্ত হলেই ধর্ষণ করার অপরাধ লঘু হয় না। বুধবার একটি ধর্ষণের মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য কেরল হাই কোর্টের

বাবার বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগের ওই মামলায় বিচারপতি আর নারায়ণ পিশরাড়ি বলেন, ‘‘বাবারা মেয়ের আশ্রয়। এক জন বনরক্ষীর চোরাশিকার করা বা সরকারি কোষাগারের রক্ষীর লুঠেরা হওয়ার ঘটনার চেয়েও কোনও বাবার পক্ষে মেয়েকে ধর্ষণ করার ঘটনা অনেক বড় অপরাধ।’’

Advertisement

ধর্ষণের শিকার নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই দায় অস্বীকার করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিই ধর্ষিতার সন্তানের বাবা।

হাই কোর্ট ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে অপরাধী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মেয়ে পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে স্বীকার করেছেন যে তাঁর সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির যৌন সম্পর্ক রয়েছে। তাই তাঁর অপরাধ যেন লঘু করে দেখা হয়। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট তাঁকে ধর্ষণের মামলায় ১২ বছর এবং পকসো আইনে ১৪ বছর জেলের সাজা শুনিয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই কেরল হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল, বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি বিচ্ছেদের যুক্তিগ্রাহ্য কারণ হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন