National news

১৯১২-তেই স্কুলে ঋতুকালীন ছুটি মঞ্জুর করেছিল কেরল

একটি বই জানিয়ে দিল, একশো বছরেরও বেশি বছর আগে কেরলের একটি স্কুল এই ঋতুকালীন ছুটি মঞ্জুর করেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ১৯:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

নারীদের ঋতুকালীন ছুটি নিয়ে গোটা দেশ জুড়েই আলোচনা। একটা অংশের মতে, এই ছুটিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। অন্য একটা অংশ যদিও এর বিরোধিতায় যুক্তি সাজাচ্ছে। এই বিতর্কের মধ্যেই একটি বই জানিয়ে দিল, একশো বছরেরও বেশি বছর আগে কেরলের একটি স্কুল এই ঋতুকালীন ছুটি মঞ্জুর করেছিল। এবং স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকই এগিয়ে এসে এই উদ্যোগ নেন।

Advertisement

১৯৮৮ সালে কেরল সাহিত্য অকাডেমি থেকে ‘কেরল ইন দ্য নাইনটিন্থ সেঞ্চুরি’ নামে ওই বইটি প্রকাশিত হয়। লেখক পি ভাস্করানানি তাতে লেখেন, ১৯১২ সালে বর্তমান এর্নাকুলাম জেলার ত্রিপুনিথুরার গভর্মেন্ট গার্লস্‌ স্কুল ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

বই থেকে জানা যায়, তখন বছরে অন্তত ৩০০ দিন স্কুলে উপস্থিত থাকাটা ছিল বাঞ্ছনীয়। তবেই ছাত্রীরা স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে পারতেন। কিন্তু ঋতুকালীন সমস্যার জন্য প্রতি মাসেই পড়ুয়া এবং শিক্ষিকাদের অনেকেই অনুপস্থিত থাকছিলেন। ফলে শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া— বছরে উপস্থিতির দিন সংখ্যা প্রত্যেকেরই তিনশোর কম হচ্ছিল। আর তাতে বার্ষিক পরীক্ষার বসতে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল প্রায় সমস্ত ছাত্রীরই।

Advertisement

আরও পড়ুন:
ফের অক্সিজেনের অভাবে শিশুমৃত্যু, এ বার ছত্তীসগঢ়ে

কৃত্রিম আলোয় কাজ করা মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে স্তন ক্যানসারের প্রবণতা

এই বিষয়টা লক্ষ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভিপি বিশ্বনাথ। ১৯২১ সালের ১৯ জানুয়ারি স্কুল ইনস্পেক্টরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেন। তাঁদের আলোচনার পাঁচ দিনের মাথাতেই সদর্থক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২৪ জানুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে স্কুল ইনস্পেক্টর জানিয়ে দেন, প্রত্যক পড়ুয়া এবং শিক্ষিকা ঋতুকালীন ছুটি পাবেন। এমনকী ঋতুকালীন সমস্যার জন্য যাঁরা স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, তাঁদের জন্যও এই সময়টা ছুটি হিসাবে গণ্য হবে। বার্ষিক পরীক্ষার শেষে আলাদা করে তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন