কুলভূষণ যাদবের ফাঁসির আদেশকে হাতিয়ার করে পাক সেনা ভারতের উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে বলে ধারণা বিদেশ মন্ত্রকের।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, পাক সেনা ও আইএসআইয়ের এই আগ্রাসী মনোভাবের পিছনে মূলত তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, সম্প্রতি নেপাল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন পাক সেনার প্রাক্তন অফিসার মহম্মদ হাবিব। ওই ঘটনার পিছনে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র-এর হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পাক সেনার। তার পাল্টা হিসেবে কুলভূষণের ফাঁসির আদেশ ঘোষণা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।
দ্বিতীয়ত, সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে ভারতের সঙ্গে ফের আলোচনা শুরুর চেষ্টা করছে নওয়াজ শরিফ সরকার। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তাপ কমানোর এই চেষ্টা পাক সেনা-আইএসআইয়ের একেবারেই পছন্দ নয় বলেই মনে করেন গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ‘চর’কে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে পাক সেনা সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকতে পারে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। কাশ্মীরে ভোটের সময়ে হিংসাতেও আইএসআই মদত দিয়েছে বলেই মনে করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই ঘটনার পরে ভারতের ‘দমনপীড়নের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ‘ভুয়ো’ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য কাশ্মীরের মানুষ ও হুরিয়তের প্রশংসা করেছিল পাকিস্তান। তাতেও দু’দেশের তিক্ততা বেড়েছিল। তৃতীয়ত, সম্প্রতি দলাই লামার অরুণাচল সফর নিয়ে চিনের সঙ্গে টানাপড়েন হয়েছে ভারতের। তাই চিনের মদতেও পাকিস্তান ভারতকে বেগ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্র।