সভায় লশকর নেতা সইফুল্লা। ছবি: সংগৃহীত।
নাম সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। গোয়েন্দা সূত্রে অনুমান, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মূল চক্রী ছিলেন তিনিই। এ বার পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকরের অন্যতম প্রধান সেই সইফুল্লাকে দেখা গেল প্রকাশ্য জনসভায়। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানের একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে একই মঞ্চেও উঠতে দেখা গেল তাঁকে।
বুধবার পাকিস্তানের পরমাণুশক্তি পরীক্ষার বার্ষিক উদযাপনসূচক দিন ‘ইয়োম-এ-তকবীর’ উপলক্ষে পাকিস্তান মারকাজ়ি মুসলিম লিগ (পিএমএমএল)-এর আয়োজিত একটি সভায় দেখা গিয়েছে সইফুল্লাকে। পঞ্জাব প্রদেশের কসুরে আয়োজিত ওই সভায় সইফুল্লা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লশকরের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ় সইদের ছেলে তল্হা সইদ। সে দেশের নানা তাবড় রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় তাঁদের। ওঠে বহু ভারত বিরোধী স্লোগানও। মঞ্চে উঠে সইফুল্লা বলেন, ‘‘আমাকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার মূল চক্রী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন আমার নাম সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে!’’
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর গোয়েন্দা তদন্তে উঠে আসে সইফুল্লার নাম। নানা মহলে দাবি করা হয়, তাঁর নির্দেশেই পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালায়। কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে হামলার দায় এড়ান খোদ সইফুল্লা। বলেন, ‘‘সব ভারতের নাটক! ওরাই পরিকল্পনা করে হামলা করিয়েছে।’’ উল্লেখ্য, প্রথমে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তা অস্বীকার করেছিল লশকর-এ-ত্যায়বার ‘ছায়া সংগঠন’ ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। আর সইফুল্লা লশকরের অন্যতম প্রধান। জঙ্গিগোষ্ঠী লশকরের অন্যতম মাথা তথা ভরতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হাফিজ় সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত ছিলেন তিনি। তাই টিআরএফ হামলা চালালেও গোটা পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন সইফুল্লার, এমনই মনে করা হচ্ছিল গোয়েন্দা সূত্রে। কিন্তু সে সব জল্পনা উড়িয়ে দেন সইফুল্লা নিজেই।