এই রকমই খাবারের প্যাকেট বিলি করা হয়। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরও রেল-বিমানের টিকিটে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ছবি। কমিশনের নির্দেশে পরে সেটা সরিয়ে দেওয়ার পর সেই বিতর্ক থামলেও প্রথম দফায় ভোটের দিন নয়া বিতর্কে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের একটি বুথে পুলিশকর্মীদের ‘নমো ফুডস’ লেখা জলখাবারের প্যাকেটে বিলি করা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকেই ওই খাবারের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের।
কমিশন রিপোর্ট তলব করলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দাবি, এটা নেহাতই কাকতালীয়। যে দোকান থেকে খাবারের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, তার নাম ‘নমো ফুডস’। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম বা বিজেপির কোনও যোগ নেই। ওই নামে একটি দোকান রয়েছে বটে, কিন্তু তাঁর মালিক কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধে থেকে তাঁদের দোকান বন্ধ। ওই ‘অর্ডার’ সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানেন না।
বৃহস্পতিবার সারা দেশেই চলছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। গৌতম বুদ্ধ নগরের ওই বুথে সকালে দেখা যায় গাড়ি ভর্তি করে পুলিশ কর্মীদের জন্য খাবার আনা হয়েছে। গেরুয়া রঙের প্যাকেটের গায়ে লেখা বড় ‘নমো ফুডস’। সেই খাবার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং তাঁরা খাওয়াও শুরু করেন। কিন্তু তার মধ্যেই প্রশ্ন ওঠে, ওই খাবারের প্যাকেট বিজেপির পক্ষ থেকেই পুলিশ কর্মীদের দেওয়া হয়েছে কি না!
আরও পডু়ন: লাইভ: ‘বুথে ঢুকেছেন কেন?’ নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানকে হুমকি মন্ত্রীর
আরও পডু়ন: রাফাল ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে পাক পাইলটরা? নয়া রিপোর্টে উদ্বেগ বাড়ল ভারতের
খবর যায় নির্বাচন কমিশনেও। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গৌতম বুদ্ধ নগরের এসএসপি বৈভব কৃষ্ণ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পুলিশকর্মীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলে একটি ভুল খবর ছড়িয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে। নমো ফুড নামে স্থানীয় একটি দোকান থেকে অর্ডার দিয়ে আনা হয়েছে। কিছু লোক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই খবর ছড়াচ্ছে।’’
এর পর সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা গৌতম বুদ্ধ নগরের ওই দোকানে যান। দেখা যায়, দোকান বন্ধ। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, ওই অর্ডার সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানেন না। তা হলে ওই প্যাকেটগুলি এল কোথা থেকে? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।