হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রগুলি। বিহারের মুজফফরপুরে, সোমবার। ছবি এএনআইয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
পঞ্চম দফার ভোটপর্বে, সোমবার বিহারের মুজফফরপুরে একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছে একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হল ২টি ইভিএম এবং ২টি ভিভিপ্যাট যন্ত্র। কী ভাবে সেগুলি হোটেলে গেল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কোনও কারণে কোনও বুথের কোনও ইভিএম বা ভিভিপ্যাট যন্ত্র হঠাৎ বিকল হয়ে পড়লে যাতে ভোটগ্রহণের কাজে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য ৪টি ইভিএম ও ২টি ভিভিপ্যাট যন্ত্র রাখা হয়েছিল সেক্টরের ম্যাজিস্ট্রেট অবধেশ কুমারের হেফাজতে। তিনি বুথ থেকে বেরিয়ে আসার সময় তাঁর গাড়ির চালক বলেন, তাঁকে ভোট দিতে যেতে হবে। ফলে, ইভিএম ও ভিভিপ্যাট যন্ত্রগুলিকে নিয়ে অবধেশ কুমারকে কাছেপিঠের একটি হোটেলে উঠতে হয়। সেখানেই তিনি একটি রুমে রাখেন ওই ইভিএম, ভিভিপ্যাট ও কন্ট্রোল ইউনিটগুলিকে। কেন তিনি গাড়ি থেকে নামিয়ে সেগুলি হোটেলের ঘরে তুলেছিলেন, তা জানতে চেয়ে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে।
কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই খবর চাউর হয়ে যায় সর্বত্র। রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টদের কানে পৌঁছে যায় সেই খবর। এটা কী ভাবে হল, তা নিয়ে সরব হন রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টরা। শুরু হয় প্রতিবাদ। খবর পৌঁছে যায় এলাকার সাব-ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) কুন্দন কুমারের কাছে। তিনি মুজফফরপুরের ওই হোটেলে গিয়ে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রগুলি উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন- বিহারে বিজেপিতে যোগ বাহুবলীর
আরও পড়ুন- ‘ইঞ্জিন’ বেলাইন করতে বিরোধীদের পাশে রামটহল
পরে মুজফফরপুরের জেলাশাসক অলোক রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘ভোটগ্রহণের সময় কোনও যন্ত্র বিকল হয়ে পড়লে সেগুলি বদলে দেওয়ার জন্য সেক্টর অফিসারের কাছে ৪টি ইভিএম, ২টি ভিভিপ্যাট এবং ১টি কন্ট্রোল ইউনিট দিয়ে রাখা হয়েছিল। ২টি ইভিএম বিকল হয়ে যাওয়ায় উনি সেগুলি বদলেও দিয়েছিলেন। তার পর তাঁর গাড়িতে রাখা ছিল আর ২টি ইভিএম, ২টি ভিভিপ্যাট এবং ১টি কন্ট্রোল ইউনিট। তবে গাড়ি থেকে নামিয়ে ওই যন্ত্রগুলি ওঁর হোটেলের রুমে রাখা উচিত হয়নি।’’