নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলায়, এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন রাজীব গাঁধী। তাঁর উদ্দেশে এমন ভাষা প্রয়োগের তীব্র নিন্দা করছি।”
এ দিন টুইটারে মমতা লেখেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি হয়ে গেল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর উদ্দেশে এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদীজি-র মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।দেশের জন্য নিজেকে উত্সর্গ করেছিলেন রাজীবজি। মাতৃভূমির জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতি এমন ভাষার প্রয়োগ এবং এই ধরনেরবক্তব্যের যেআস্পর্ধা, তার তীব্র নিন্দা করি।’
শনিবার উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে দু’দশক পুরনো বফর্স প্রসঙ্গ টেনে আনেন নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে নিশানা করে বলেন, “আপনার বাবা তাঁর কাছের মানুষদের জন্য‘মিস্টার ক্লিন’ হতে পারেন।কিন্তু তাঁর জীবন শেষ হয়েছে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান’ হয়ে।”
আরও পড়ুন: ‘কর্মফলের জন্য প্রস্তুত হোন’, মোদীকে পাল্টা তোপ রাহুলের
বফর্স কাণ্ডে রাজীব গাঁধীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই মোদীর এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে দেরি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে টুইটারে নিজেদের মতামত জানান রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। সেই সঙ্গে বিরোধীদের মধ্যেও অনেকে মোদীর সমালোচনা সরব হন।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি লেখেন, ‘দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকাকালীনই প্রাণ হারান রাজীব গাঁধী। সত্যিকারের দেশপ্রেমী ছিলেন উনি। তাই ধর্মের নামে যাঁরা পিটিয়ে মানুষ মারে, তাঁদের সার্টিফিকেটের দরকার নেই ওঁর। রাজনীতি কোন স্তরে নেমে এসেছে, তা প্রয়াত এক ব্যক্তিকে কালিমালিপ্ত করার এই প্রচেষ্টা থেকেই স্পষ্ট।’
আরও পড়ুন: ‘আপনার বাবা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত’, বফর্স নিয়ে রাহুলকে আক্রমণ মোদীর
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব টুইটারে লেখেন, ‘রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের জন্য যিনি শহিদ হয়েছেন, তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া আমাদের কর্তব্য। তাঁর পরিবারকে সহানুভূতি দেখানো উচিত। ভোট হোক বা না হোক এইটুকু মানবিকতা সকলেরই থাকে। কিন্তু ক্ষমতার লোভে মানুষ যে কত নীচে নামতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই তার প্রমাণ।’
এ বার সেই মোদীর সমালোচনায় সরব হলেন মমতাও।