মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে সভা চলাকালীনই সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের উপর চটলেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী। বক্তৃতা থামিয়ে সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের বললেন, ‘‘ কী ভাবে ব্যবহার করতে হয় তা আপনারা শিখুন বহুজন সমাজ পার্টির কর্মীর কাছ থেকে।’’
ফিরোজাবাদে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অক্ষয় যাদবের সভায় বক্তৃতা করার সময়ই মেজাজ হারান মায়াবতী। এই সভার আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন সমাজবাদী কর্মী-সমর্থকরাই। মায়াবতী যখন বক্তৃতা করছিলেন, ঠিক তখনই স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। এর পরই চটে গিয়ে মায়াবতী বলেন, ‘‘ কেউ কিছু বলার মধ্যেই আপনারা এই রকম হল্লা করছেন। আপনাদের বিএসপি কর্মীদের দেখে শেখা উচিত। বিএসপি কর্মীরা সব সময় শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের কথা শোনেন। সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের অনেক কিছু শেখা বাকি আছে।’’
রাজনৈতিক সভা, সমিতি বা মিছিলের সময় দলীয় কর্মীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে বরাবরই কঠোর মায়াবতী। যে কারণে বাকি পাঁচটা রাজনৈতিক সমাবেশের থেকে তাঁর সমাবেশ এই রাজ্যে অনেকটাই আলাদা। সাধারণত, তাঁর বাসভবনের সামনে দলীয় কর্মীদের স্লোগান দিতে বা জমায়েত হতে দেখা যায় না। কোনও দলীয় বৈঠকের ক্ষেত্রে, যাঁরা আমন্ত্রিত শুধু তাঁদেরকে নিয়েই বৈঠক করেন মায়াবতী। রাজনৈতিক সমাবেশের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুছিয়ে সমাবেশ করেন তিনি। প্রত্যেকের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট থাকে তাঁর সভায়। মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় বসতে পারেন না কোনও পুরুষরা।
আরও পড়ুন: এক জন সন্ন্যাসিনীকে অপমান করা হচ্ছে, প্রজ্ঞার পাশে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার মোদীর
অন্য দিকে তাঁর জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ স্বতঃস্ফূর্ততায় বিশ্বাসী। দলের সদর দফতর সব সময়ই জমজমাট। প্রায়শই কর্মী সমর্থকদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। বক্তৃতা চলাকালীন সেই স্লোগান দিতে গিয়েই তাঁরা ধমক খেলেন মায়াবতীর।
আরও পড়ুন: রাহুলকে ‘কুকুরছানা’ বলে বিতর্কে গুজরাতের মন্ত্রী
দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক শত্রুতা দূরে সরিয়ে এই নির্বাচনে জোট বেঁধেছে সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি। তাঁদের সঙ্গে সামিল হয়েছে অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোকদলও। দীর্ঘ দিনের বৈরিতা ভুলে মুলায়মের কেন্দ্র মৈনপুরীতে গিয়ে এক সঙ্গে সভাও করেছেন তিনি। প্রথম দু’টি দফায় উত্তরপ্রদেশে ভোট হয়েছে ১৬টি আসনে। পরের পাঁচ দফায় ভোট হবে এই রাজ্যের বাতি ৬৪ আসনে।