ফের প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে কটাক্ষ স্মৃতি ইরানির। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী প্রচারে প্রয়াত রাজীব গাঁধীকে রেয়াত করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই এ বার রাজীব তনয়া প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে কটাক্ষ করে বসলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। টেনে আনলেন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরাকেও। স্মৃতির দাবি, আজকাল তাঁর নাম নিতে এত ব্যস্ত প্রিয়ঙ্কা যে, স্বামী রবার্ট বঢরার নাম মুখে আনতে ভুলে যাচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যমে স্মৃতি ইরানি বলেন, “পাঁচ বছর আগে আমার নাম জানতেন না প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। আর এখন সারা ক্ষণ আমার নামই জপে চলেছেন। এই না হলে সাধনা!” তিনি আরও বলেন, “আজকাল আমার নাম নিতে এত ব্যস্ত উনি যে, স্বামীর নাম মুখে আনতেও ভুলে যাচ্ছেন।”
সোমবার পঞ্চম দফায় যে আসনগুলিতে নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল উত্তরপ্রদেশের অমেঠী। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার সেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্মৃতি ইরানি। এর আগে, ২০১৪-তেও ভাইয়ের হয়ে সেখানে প্রচার চালিয়েছিলেনপ্রিয়ঙ্কা, যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন স্মৃতি। সেইসময় স্মৃতি ইরানি কে, জানতে চেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
আরও পড়ুন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে বিজেপি, পশ্চিমবঙ্গে বাড়বে আসন, বললেন রাম মাধব
কিন্তু তার পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। ২০১৪-য় অমেঠীতে স্মৃতি ইরানিকে পরাজিতকরলেও, রাহুলের জয়ের ব্যবধান অনেকটাই কমে যায়। এ বারও সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দু’জনের মধ্যে। রাহুল গাঁধী অমেঠীকে অবহেলা করেছেন বলে এক দিকে যেমন অভিযোগ তুলছেন স্মৃতি। ঠিক তেমনই ভাইয়ের হয়ে ভোট চাইতে গিয়ে স্মৃতিকে তুলোধনা করেছেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর দাবি, “এখনও পর্যন্ত ১৬ বার অমেঠীতে পা রেখেছেন স্মৃতি। চার ঘণ্টার বেশি কখনও থাকেননি। তবে যখনই আসেন, সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে আসেন। ক্যামেরার সামনে জুতো বিলি করে দেখান। রাহুল কিন্তু কয়েক ঘণ্টার জন্য অমেঠী ঘুরতে আসেন না। সেখানে মানুষের সঙ্গে থাকেন, তাঁদের অভাব, অভিযোগ শোনেন।” কেন্দ্রীয় সরকার অমেঠীর উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতপাতে বিশ্বাস করি না, ডিম্পলকে বিয়ে করাই তার প্রমাণ: অখিলেশ
তবে প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্মৃতি। তাঁর দাবি, অমেঠীর মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছেন। তাই রাহুল গাঁধীকে নাম ধরে ডাকেন তাঁরা। কিন্তু তাঁকে ডাকেন ‘দিদি’ বলে।