Lok Sabha Election 2019

ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ছে দূরত্ব, ভোট প্রচারে তেজপ্রতাপ বলছেন, ‘আমিই দ্বিতীয় লালুপ্রসাদ’

বিহারের রাজনীতিতে বরাবর সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছেন তেজস্বী যাদব। ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিহারে নীতীশ কুমার সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ১৯:৪৪
Share:

তেজপ্রতাপ এবং তেজস্বী যাদব, দূরত্ব বাড়ছে লালুপ্রসাদের দুই ছেলের মধ্যে। —ফাইল চিত্র।

ভাইয়ের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে শোনা গিয়েছিল আগেই। এ বার প্রকাশ্য সভায় নিজেকে বাবার উত্তরাধিকারী ঘোষণা করলেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব।নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আগেও ভাই তেজস্বী যাদবকে আক্রমণ করেছেন তেজপ্রতাপ। তবে বৃহস্পতিবার জাহানাবাদের জনসভা নিজেকে ‘‘দ্বিতীয় লালুপ্রসাদ’’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

শারীরিক অসুস্থতার জেরে দিন কয়েক আগে বেশ কিছু সভা বাতিল করেন তেজস্বী। সেই নিয়েই নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করেন তেজপ্রতাপ। বাবার সঙ্গে তুলনা টেনে বলেন, ‘‘বাবা অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিলেন। দিনে ১০-১২টি সভা করতেন। আজকাল নেতারা দু’-চারটি সভা করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমার শরীরে লালুপ্রসাদ যাদবের রক্ত বইছে। উনি আমাদের নেতা ও গুরু। আমি বিহারের দ্বিতীয় লালুপ্রসাদ।’’

বিহারের রাজনীতিতে বরাবর সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছেন তেজস্বী যাদব। ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিহারে নীতীশ কুমার সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক ভাবে পরিণত এই ছোট ছেলের উপরই তাই একটু বেশি নির্ভরশীল লালুপ্রসাদ। পশুখাদ্য মামলায় তিনি জেলে যাওয়ার পর, তাঁর অনুপস্থিতিতে বিহারের রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন তেজস্বী। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) রাশ এখন তাঁরই হাতে। এমনকি নির্বাচনে জোট সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভয়াল-ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলায় লন্ডভন্ড পুরী-ভুবনেশ্বর, তছনছ গ্রামের পর গ্রাম, মৃত ৩​

কিন্তু রাজনীতিতে তেজস্বীর গুরুত্ব যত বেড়েছে, দাদা তেজপ্রতাপের সঙ্গে ততই দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ের ছ’মাসের মধ্যে স্ত্রী ঐশ্বর্যার থেকে বিচ্ছেদ চেয়ে বসেন তেজপ্রতাপ। তখন থেকেই দুই ভাইয়ের সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয় বলে দলীয় সূত্রে খবর। গত মাসে তেজপ্রতাপের জন্মদিনে যদিও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তেজস্বী, গলা জড়িয়ে ছবিও তোলেন। কিন্তু তেজপ্রতাপের শ্বশুর চন্দ্রিকা রাইকে সারণ থেকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিলে ফের ছোট ভাইয়ের উপর চটেন তেজপ্রতাপ। ভাইয়ের উপর রাগে বাবা-মায়ের নামে আলাদা ‘লালু-রাবড়ি মোর্চা’ দল গড়েন তিনি। প্রথমে শ্বশুরের বিরুদ্ধে নিজেই লড়বেন বলে স্থির করেন। পরে মত বদলান।

আরও পড়ুন: উন্মত্ত আক্রোশে হাওয়া এসে ওলটপালট করে দিল সব​

শিবহরে সাংবাদিক সৈয়দ ফয়জল আলিকে তেজস্বী প্রার্থী ঘোষণা করলেও মেনে নিতে পারেননি তেজপ্রতাপ। অঙ্গেশ সিংহকে সেখানে প্রার্থী করার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। জাহানাবাদে আরজেডি-র তরফে সুরেন্দ্র যাদবকে দাঁড় করানো হলে, তাদের বিরুদ্ধে ওই আসনে নিজের প্রার্থী চন্দ্রপ্রকাশকে জাহানাবাদ আসনে দাঁড় করান তেজপ্রতাপ। বৃহস্পতিবার তাঁর হয়েই নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন