ফি বাকি থাকায় ছাত্রের হাতে স্ট্যাম্প। গ্রাফিক তিয়াসা দাস।
লুধিয়ানার মনদিয়া কালান এলাকার এসডিএন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে হর্ষদীপ সিংহ। গত শুক্রবারসে স্কুলে গিয়েছিল পরীক্ষা দিতে। কিন্তু স্কুলের ফি তাঁর বাবা জমা দিতে পারেন নি। সেজন্য ফি জমা দেওয়ার কথা মনে করাতে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রের হাতে স্ট্যাম্প লাগানোর অভিযোগ উঠল ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার জেলা শিক্ষা আধিকরিক। এই ঘটনার জন্য ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকেও সমন পাঠিয়েছে পঞ্জাব শিশু অধিকার কমিশন।
হর্ষদীপের বাবা কুলদীপ সিংহ একজন অটোচালক।বকেয়া ফি-র জন্য হাতে স্ট্যাম্প মারার ঘটনা এসে বাবাকে জানায় হর্ষদীপ। তারপরই স্কুলে ছেলেকে হেনস্থা করার অভিযোগ আনেন তিনি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হর্ষদীপের বাবা কুলদীপ বলেছেন, ‘‘ফি-এর কথা জানাতে কাগজে লিখেও জানাতে যেত। কিন্তু শিক্ষকদের উচিত হয়নি ছেলের হাতে স্ট্যাম্প দেওয়া। এটা করার অধিকার নেই তাঁদের।’’
যদিও ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্যামা দুগ্গাল অভিযোগ করেছেন, ওই বাচ্চাটি হাতে ট্যাটু করতে চেয়েছিল বলেই স্ট্যাম্প লাগানো হয়েছে। ঘটনার পর হর্ষদীপের বাবা স্কুলে এসে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই প্রিন্সিপালের আরও অভিযোগ, এর আগে কুলদীপ হর্ষদীপের দিদির স্কুল ফিও না কি পুরোপুরি দেননি।
যদিও স্কুলে ছাত্রকে হেনস্থার এই ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। লুধিয়ানার জেলা শিক্ষা আধিকারিক স্মরণজিৎ কৌর বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা নিয়ে আমরা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। ঘটনার তদন্তের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কমিশনের চেয়ারম্যান সুকেশ কালিয়া বলেছেন, ‘‘আমরা ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকে ডেকে পাঠিয়েছি। আইন অনুযায়ী, স্কুলের ফি নিয়ে কর্তৃপক্ষ অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু ছাত্রের সঙ্গে করা আইন বিরুদ্ধ। তাছাড়া হাতে স্ট্যাম্প মারার ঘটনায় শিশু অধিকারও ভঙ্গ হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: আপত্তিকর ছবি ছড়িয়েছে প্রাক্তন প্রেমিক! ছেলেকে নিয়ে আত্মঘাতী মা
আরও পড়ুন: মোদীতে মুগ্ধ! ছেলের নাম ‘নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী’ রাখলেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম মহিলা