খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। —প্রতীকী চিত্র।
ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজ়িট)-এর টাকা হাতিয়ে নিতে মহিলাকে খুন করেছিলেন তাঁর পালিত পুত্র। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ফাঁসির সাজা দিল মধ্যপ্রদেশের আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় সংস্কৃতিতে মাকে ঈশ্বরতুল্য সম্মান করা হয়। তাঁকে খুন করার কোনও ক্ষমা হয় না।
মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের এক অনাথাশ্রম থেকে প্রায় ২০ বছর আগে দীপক পাচুরিকে দত্তক নেন উষা দেবী এবং তাঁর স্বামী। ২০২১ সালে উষার স্বামীর মৃত্যু হয়। ওই সময় বাবার ফিক্সড ডিপোজ়িট ভেঙে ১৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা তোলেন দীপক। সেখান থেকে ১৪ লক্ষ টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন এবং বাকি টাকাও খরচ করে ফেলেন। পরে শেয়ার বাজারে লোকসানের মুখে পড়ায় মায়ের ৩২ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজ়িটও ভাঙার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু উষা আপত্তি জানানোয় তাঁকে খুনের ছক কষেন দীপক।
ওই ফিক্সড ডিপোজ়িটে একমাত্র নমিনি ছিলেন দীপক। ফলে উষা মারা গেলে সেই টাকা দীপকই পেতেন। সেই পরিকল্পনা মতো গত বছরের মে মাসে বাড়িতেই সিঁড়ি থেকে ধাক্কা মেরে মাকে ফেলে দেন দীপক। তাতে মায়ের মৃত্যু না হওয়ায় লোহার রড দিয়ে মারেন দীপক। শেষে শ্বাসরোধ করে তিনি মাকে খুন করেন বলে অভিযোগ। এর পরে দেহ একটি কাপড়ে মুড়ে বাড়ির মধ্যেই এক জায়গায় লুকিয়ে দেন তিনি এবং সেখানে দেওয়াল গেঁথে দেন।
পরে নিজেই থানায় গিয়ে মায়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি হতেই দীপকের কথাবার্তা সন্দেহজনক ঠেকে পুলিশের। তাঁকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত। তদন্তে বিচারবিভাগীয় আধিকারিকের উপস্থিতিতে ওই লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ। এ বার মামলায় অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল মধ্যপ্রদেশের আদালত।