Marital Dispute

নিজেই গায়ে আগুন দিয়ে স্ত্রী শ্বশুরবাড়ির উপরে দোষ চাপান! স্বামীর বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদনে সায় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের

আদালত জানিয়েছে, স্ত্রীর এমন কঠোর পদক্ষেপ স্বামীর মনে ভয় জাগানোর জন্য যথেষ্ট। এই ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, স্বামীর উপর মানসিক নিষ্ঠুরতা করেছেন ওই মহিলা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:০০
Share:

শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্ত্রী। আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলার দাবি অসত্য। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মহিলা নিজেই নিজের গায়ে আগুন ধরান। তার পরে ওই ঘটনার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দিকে আঙুল তোলেন। আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করে স্বামীর বিবাহ-বিচ্ছেদের আর্জি মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০০৩ সালে। এক সন্তানও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু ২০০৫ সালে স্ত্রী অভিযোগ জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। যদিও স্বামীর বক্তব্য ছিল, স্ত্রী নিজেই নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরান। ওই বছর থেকেই তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরই মধ্যে ২০০৬ সালে স্বামী বিবাহ-বিচ্ছেদের আর্জি জানান নিম্ন আদালতে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে বিচ্ছেদ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি বিশাল ধাগত এবং বিচারপতি অনুরাধা শুক্লের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নিজের দাবি সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি মহিলা।

হাই কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, “প্রতিষ্ঠিত তথ্য থেকে জানা যায়, হতাশার কারণে স্ত্রী নিজেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তার পরে স্বামীর আত্মীয়পরিজনদের উপরে দোষ চাপান। ওই মহিলা তাঁর স্বামীর প্রতি মানসিক নিষ্ঠুরতা করেছেন, এমন ভয়াবহ ঘটনাই তা প্রমাণ করে।” আদালত জানিয়েছে, স্ত্রীর এমন কঠোর পদক্ষেপ স্বামীর মনে ভয় জাগানোর জন্য যথেষ্ট। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, মহিলার দাবি ছিল, শ্বশুরবাড়ির ওই ঘটনার পরে প্রতিবেশীরাই তাঁর গায়ের আগুন নিবিয়েছিলেন। কিন্তু এই দাবি প্রমাণ করার জন্য তিনি কাউকে আদালতে সাক্ষী হিসাবে হাজির করাতে পারেননি।

Advertisement

আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলা এক বেদনাদায়ক ঘটনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু এর জন্য তিনি শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দিকে আঙুল তুলছেন। এ ধরনের ঘটনায় কোনও প্রতিবেশীর সাক্ষ্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হতে পারত। তবে এ বিষয়ে আদালতে কোনও সাক্ষীকে তিনি হাজির করাননি। আদালত জানিয়েছে, মহিলা তাঁর অভিযোগের সপক্ষে কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ দেখাতে পারেননি। যাঁদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ তুলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলাও করেননি। এ অবস্থায় স্বামীকে বিবাহ-বিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement