প্রথম বক্তৃতাতেই বাজিমাত মহুয়ার

দেশকে যে টুকরো করে দেওয়া হচ্ছে, তার সাতটি প্রমাণের বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে মহুয়া বক্তৃতা শেষ করেন হিন্দি কবি রাহাত ইন্দোরির একটি কবিতা দিয়ে। যার শেষ লাইন, ‘কিসিকা বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়’!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০৩:২০
Share:

মহুয়া মৈত্র।

প্রথম বলেই ছয়! সংসদে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রথম বক্তৃতার পরে তেমনটাই বলছে দিল্লির রাজনৈতিক শিবির।

Advertisement

রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার উপর ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে আজ মহুয়া আগাগোড়া বিঁধেছেন বিজেপি তথা মোদী সরকারকে। শুরুতেই মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃত করে ভারতের বহুত্ববাদের ধারণা এবং সংবিধানের আদর্শের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধান আক্রান্ত। বহুত্ববাদ আক্রান্ত’। দেশকে যে টুকরো করে দেওয়া হচ্ছে, তার সাতটি প্রমাণের বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে মহুয়া বক্তৃতা শেষ করেন হিন্দি কবি রাহাত ইন্দোরির একটি কবিতা দিয়ে। যার শেষ লাইন, ‘কিসিকা বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়’!

কৃত্রিম জাতীয়তাবাদ, প্রচারমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ধর্মের সঙ্গে প্রশাসনকে জড়িয়ে ফেলা, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি আবেগ তৈরি করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধে মহুয়া বলেন, ‘‘নিরাপত্তা নিয়ে এমন বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে যেন ছোটবেলায় শোনা সেই কালা ভূত এসে ধরবে! আসলে কালা ভূতের মতোই একটা নতুন শত্রু তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবাইকে ভয় দেখানো যায়।’’

Advertisement

বক্তৃতায় এনআরসি এবং অযোধ্যার বিতর্কিত জমির উল্লেখ থাকায় বিজেপির নিশিকান্ত দুবে আপত্তি জানান। তিনি জানান, বিষয়গুলি যে হেতু আদালতের বিচারাধীন, তাই মহুয়ার বক্তৃতা থেকে তা বাদ দিতে হবে। এ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে।

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা ছিল লোকসভায়। তিনি যাতে প্রচারের সব আলো নিয়ে যেতে না পারেন, তাই লোকসভায় মহুয়া এবং রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েনকে দিয়ে বলানোর কৌশল নেয় তৃণমূল। ইংরেজি এবং বাংলার মিশেল করে তিনি বিঁধেছেন কেন্দ্রের মোদী সরকারকে।

ডেরেক তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘৯ থেকে ১৫ জুন— তিনটে অ্যাডভাইসারি কেন্দ্রের তরফ থেকে বাংলায় পাঠানো হয়েছে। এত অ্যাডভাইসরি পাঠাচ্ছেন, আপনারা একটা চাটার্ড ফ্লাইট এখানে রাখুন! রোজ পাঠান! কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশে তো অ্যাডভাইসরি পাঠায়নি, ২৫ জন সেখানে মারা গিয়েছেন। বিহারে তো অ্যাডভাইসরি পাঠাননি। ১৫০ শিশু ওখানে মারা গিয়েছে।’’ শিক্ষা থেকে বেকারত্ব, স্বাস্থ্য থেকে বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি— সব প্রসঙ্গ টেনে এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তার তুলনা করে তিনি মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন