Mahua Moitra

‘এই রাক্ষসেরা জেলে যাক’, বিলকিস বানোর ধর্ষককে বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখে ফুঁসে উঠলেন মহুয়া

সোমবার সকালে টুইট করে মহুয়া দেখিয়েছেন, বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়কের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে আছেন বিলকিস বানোর অন্যতম ধর্ষক শৈলেশ ভট্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েও তিনি এখন মুক্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৭
Share:

বিলকিস বানোর ধর্ষককে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখে ক্ষুব্ধ মহুয়া মৈত্র। ফাইল ছবি।

বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ভরা মঞ্চে বসে রয়েছেন বিলকিস বানোর অন্যতম ধর্ষক, তাঁর ছবি দেখিয়ে শাস্তির দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার সকালে মহুয়া একটি ছবি টুইট করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, একটি মঞ্চে পর পর বসে আছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। ছিলেন গুজরাতের দাহোদের বিজেপি সাংসদ জসবন্তসিংহ ভাভোর এবং তাঁর ভাই তথা লিমখেড়ার বিধায়ক শৈলেশ ভাভোর। তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন শৈলেশ ভট্ট, যিনি বিলকিস বানোর অন্যতম ধর্ষক হিসাবে দোষী সাব্যস্ত।

বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এক ধর্ষকের ছবি দেখিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে এক হাত নিয়েছেন মহুয়া। তিনি ওই ছবির সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘বিলকিস বানোর ধর্ষক বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কের সঙ্গে একই মঞ্চে। আমি এই রাক্ষসদের জেলের ভিতর দেখতে চাই, তার পর চাবিটা ছুড়ে ফেলে দিতে চাই। এই শয়তান সরকার, যে বিচারের নামে প্রতারণাকে প্রশ্রয় দেয়, আমি দেখতে চাই তাকে ভোট না দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আমি চাই ভারত তাঁর হারানো নীতিবোধ ফিরে পাক।’’

Advertisement

গত ১৫ অগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তার আগে, মে মাসে মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ওই অপরাধীরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি পরিচালিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সঙ্কেত পায়।

ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া নিজে। তাঁর সঙ্গে একই আর্জি জানিয়েছেন সিপিএম নেত্রী সুহাষিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লউল, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মারা। গত ১৭ ডিসেম্বর ১১ জন ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিলকিস আর্জি জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতে।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন, ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। বিলকিসের পরিবারের আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে সওয়াল করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা এখন মুক্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন