Crime News

ভাইকে বলি দিলেন দাদা, তান্ত্রিকের কথা শুনে গলায় কোপ, মাঠ থেকে উদ্ধার দেহ

উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা কৃষ্ণ বর্মার পুত্র বিবেক গত বৃহস্পতিবার হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে ওই দিন রাতেই নিকটবর্তী মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরের দেহ। গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৮:০৮
Share:

উত্তরপ্রদেশে তান্ত্রিকের কথায় নরবলি। প্রতীকী ছবি।

১০ বছরের শিশুকে বলি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। তান্ত্রিকের কথা শুনে ভাইকে খুন করেছেন যুবক। অভিযোগ, তান্ত্রিক তাঁদের বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য নরবলি দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন।

Advertisement

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের পারসা গ্রামের। সেখানকার বাসিন্দা কৃষ্ণ বর্মার পুত্র বিবেক গত বৃহস্পতিবার হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও ছেলেকে পাওয়া যায়নি। পরে ওই দিন রাতেই নিকটবর্তী মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরের দেহ। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কেউ গলা কেটে তাকে হত্যা করেছে বলে মনে হয়েছিল।

এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, নরবলি দেওয়া হয়েছে। বিবেককে খুন করেছেন তার কাকা এবং খুড়তুতো ভাই।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বিবেকের দাদা অনুপের আড়াই বছর বয়সি এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু ছেলেটি বিশেষ ভাবে সক্ষম। প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। তাই তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুপ। মনে করেছিলেন, ঝাড়ফুঁক তুকতাকের মাধ্যমে ছেলেকে সুস্থ করে তুলবেন।

তান্ত্রিক তাঁকে জানান, নরবলি দিলে তাঁর ছেলে সুস্থ হয়ে উঠবে। ফলে ভাই বিবেককেই বলি দেওয়ার জন্য বেছে নেন অনুপ। এই কাজে তাঁকে সঙ্গ দেন তাঁর বাবা তথা মৃত কিশোরের কাকা চিন্তারাম। বৃহস্পতিবার বিবেককে তাঁরা মাঠে তুলে নিয়ে যান। তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিশোরের গলা কেটে ফেলেন।

এই ঘটনায় অনুপ এবং চিন্তারামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত তান্ত্রিককেও। পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট প্রশান্ত বর্মা জানিয়েছেন, খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কী ভাবে খুন করা হল, অভিযুক্ত তান্ত্রিক অতীতে আরও কাউকে নরবলির নিদান দিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন