রাফাল নিয়ে আন্দোলনে রাস্তায় নামছে না মমতা-মায়ার দল

রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে দুই নেত্রী প্রাথমিকভাবে মুখ খুললেও তৃণমূল ও বহুজন সমাজ পার্টি এ বিষয়ে তেমন ভাবে রাস্তায় নামছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে দুই নেত্রী প্রাথমিকভাবে মুখ খুললেও তৃণমূল ও বহুজন সমাজ পার্টি এ বিষয়ে তেমন ভাবে রাস্তায় নামছে না। তাদের এই ভূমিকাকে ‘রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয়তা’ হিসেবে দেখছে কংগ্রেসের একাংশ।

Advertisement

রাফাল যুদ্ধবিমানের চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সর্বপ্রথম সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীই। অন্য বিরোধী দলগুলি তখন মাথা না ঘামালেও, পরে একে একে রাফাল নিয়ে সরব হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের একাংশের ব্যাখ্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতী রাহুলের নেতৃত্ব মেনে নিতে ‘নারাজ’। আর রাফাল-কেলেঙ্কারি রাহুলের নিজস্ব অস্ত্র এবং ক্রমশ তা ধারালো হয়ে উঠছে। সেই অস্ত্রকেই প্রধান হাতিয়ার করে ফেললে রাহুলের নেতৃত্ব কার্যত মেনে নিতে হবে দুই নেত্রীকে। তা তাঁরা করেন কী করে?

গত মাসে রাফাল নিয়ে মমতা মন্তব্য করেছিলেন, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। তারপরে মোদী সরকার তথা বিজেপি রাফাল-কাণ্ড থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে সিপিএম যেভাবে রাফাল নিয়ে প্রচারপুস্তিকা প্রকাশ করে, নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামছে, তৃণমূলের তরফে সেই উদ্যোগ এখনও দেখা যায়নি। তৃণমূল সূত্রের খবর, রাফাল নিয়ে রাস্তায় নামার বা বিক্ষোভ দেখানোর কোনও নির্দেশ নেই। কেন? তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় এ প্রসঙ্গে শুধু বলেন, ‘‘আমরা ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছি। এ নিয়ে আন্দোলন করা হলে যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।’’

Advertisement

মায়াবতীও রাফাল-চুক্তিকে ‘বিজেপির দুর্নীতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, মোদী সরকার অভিযোগের জবাব দিতে পারছে না। কিন্তু অখিলেশ যাদব যেভাবে কংগ্রেসের সুরেই যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তুলেছেন, মায়াবতী সেভাবে সরব হননি। দলের নেতা সতীশ মিশ্রকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। দলের একটি সূত্রের বক্তব্য, এ বিষয়ে দলনেত্রী যা বলার বলেছেন। ভবিষ্যতেও তিনিই বলবেন।

গত সপ্তাহে ১৪টি বিরোধী দলের যুব সংগঠনের কর্মীরা দিল্লিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সেখানেও কংগ্রেসের নিশানায় ছিল রাফাল চুক্তি। ওই কর্মসূচিতেও তৃণমূল, বিএসপি অনুপস্থিত ছিল। তৃণমূলের দাবি, তাদের এ বিষয়ে জানানো হয়নি। বিএসপি-র যুক্তি ছিল, তাদের কোনও যুব সংগঠন নেই।

রাহুল নিজে বিষয়টিকে প্রকাশ্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি আজ বলেন, ‘‘মূল বিষয়টি হল, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে রাহুল গাঁধী বলছেন নাকি অন্য কেউ, সেটা প্রশ্ন নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন