Fake Identity

চার মাস হোটেলে থেকে ২৩ লক্ষ টাকা বিল না দিয়েই চম্পট, নজরে আবু ধাবির বাসিন্দা!

বিলের ২৩ লক্ষ টাকা না মিটিয়েই চম্পট দেন। শনিবার ওই ব্যক্তির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দিল্লির ওই পাঁচতারা হোটেল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৭
Share:

এক ব্যক্তি হোটেলের বিলের ২৩ লক্ষ টাকা না মিটিয়েই চম্পট দেন বলে অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।

মিথ্যা নাম-পরিচয় দিয়ে দিল্লির এক বিলাসবহুল হোটেলে চার মাস কাটান এক ব্যক্তি। দাবি করেন, আবু ধাবির রাজপরিবারের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। তার পর বিলের ২৩ লক্ষ টাকা না মিটিয়েই চম্পট দেন। সঙ্গে হোটেলের ঘরের কিছু দামি জিনিসও চুরি করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। শনিবার ওই ব্যক্তির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দিল্লির ওই পাঁচতারা হোটেল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ শরিফ। ১ আগস্ট দিল্লির ওই হোটেলের ৪২৭ নম্বর ঘরে থাকতে আসেন তিনি। ২০ নভেম্বর কাউকে কিছু না বলেই কেটে পড়েন। হোটেলকর্মীদের দাবি, ঘরে থাকা রুপোর বাসন এবং একটি মুক্তোর রেকাবি চুরি করে নিয়েছেন শরিফ।

হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে, আগস্টে শরিফ হোটেলে থাকতে এসে জানিয়েছিলেন, তিনি আরব আমিরশাহির বাসিন্দা। আবু ধাবির শেখ ফালাহ্ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাঁর। শরিফ হোটেল কর্মীদের কাছে এই দাবিও করেন যে, আবু ধাবির যুবরাজের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। ভারতে সরকারি ব্যবসার কাজেই এসেছেন। নিজের দাবির সপক্ষে প্রমাণ দিতে বিজনেস কার্ড, আরব আমিরশাহির নাগরিক হওয়ার নথি এবং অন্য নথিও দেখিয়েছিলেন। হোটেলকর্মীদের সঙ্গে প্রায়ই আবু ধাবিতে নিজের জীবনযাপনের কথা বলতেন। পুলিশ সে সব নথি খতিয়ে দেখছে। তাদের ধারণা, ওই নথিগুলি জাল।

Advertisement

প্রায় ৪ মাস দিল্লির ওই হোটেলে ছিলেন শরিফ। থাকা-খাওয়ার খরচ পড়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে ১১.৫ লক্ষ টাকা মিটিয়েছিলেন তিনি। যে দিন হোটেল থেকে পালিয়ে যান, সেই ২০ নভেম্বর ২০ লক্ষ টাকার একটি চেক হোটেলকর্মীদের দিয়েছিলেন তিনি। সেই চেকও ছিল ভুয়ো। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই ফুটেজ দেখেই শরিফকে ধরার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন