Fire

সামান্য কারণে কর্মচারীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ, কর্নাটকে গ্রেফতার দোকান মালিক

দোকানের মালিক প্রথমে খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। হাসপাতালে জানিয়েছিলেন, জগু তড়িদাহত হয়েছেন। পুলিশ সেই যুক্তি মানেনি। তদন্তে প্রকাশ, দোকান মালিকই খুন করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:২১
Share:

— প্রতীকী ছবি।

কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে তৌসিফ হোসেনের মুদির দোকানে কাজ করতেন গজানন ওরফে জগু। সামান্য কোনও বিষয় নিয়ে মালিকের সঙ্গে বচসায় জড়ান জগু। কর্মচারী কেন মুখে মুখে তর্ক করবে, এ কথা বলে তাঁকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তৌসিফের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত তৌসিফকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, জগুর মৃত্যুর পর প্রথমে তৌসিফ প্রচার করেন যে মৃত্যু হয়েছে তড়িদাহত হয়ে। কিন্তু পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর বুঝতে পারে, খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। সেই মতো এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। স্থানীয়রা পুলিশকে জানান, তড়িদাহত হওয়ার কোনও ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। তার পরেই পুলিশ তৌসিফকে জেরা করে। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে তিনি স্বীকার করেন, রাগের মাথায় তিনিই জগুকে পুড়িয়ে মেরেছেন। পরে খুন ধামাচাপা দিতে তিনি জগুকে নিয়ে যান নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানে তৌসিফ বলেন, তড়িদাহত হয়েছেন জগু।

এর পরেই মেঙ্গালুরু দক্ষিণ থানার পুলিশ তৌসিফকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু হয়েছে। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই তড়িদাহত হওয়ার গল্প ফেঁদেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হয়। তার পরেই তদন্ত করে দেখা যায় তড়িদাহত নয়, জগুকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। আর সেই আগুন দিয়েছিলেন তৌসিফই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন