Viral News

সাধুর বেশে ভিক্ষা চাইতে চাইতে ২২ বছর পর মায়ের মুখোমুখি হারানো ছেলে! তবে ফিরেও ফিরলেন না

২০০২ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল ছোট্ট পিঙ্কু। বাবা, মায়ের উপরে রাগ করেই ঘর ছেড়েছিল সে। ২২ বছর পর মায়ের কাছে নিজেই ফিরে এসেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

২২ বছর পরে মায়ের কাছে ফিরে এলেন হারানো ছেলে। সাধুর বেশ পরে ভিক্ষা চাইতে চাইতে মায়ের দ্বারস্থ হলেন তিনি। তবে ফিরেও ফিরলেন না। মা, বাবার কাতর আর্তনাদ সত্ত্বেও ভিক্ষা নিয়েই আবার চলে গেলেন। স্বজনের কান্নায় কর্ণপাতও করলেন না।

Advertisement

দিল্লির বাসিন্দা রতিপাল সিংহের পুত্র পিঙ্কু। ২০০২ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল সে। খেলাধূলা নিয়ে বাবা এবং মায়ের কাছে বকুনি খেয়ে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পিঙ্কু। ছেলেকে আর খুঁজে পাননি সিংহ দম্পতি। প্রায় দুই যুগ পরে আচমকা সেই ছেলেরই দেখা পেলেন তাঁরা।

উত্তরপ্রদেশের অমেঠী জেলায় সম্প্রতি দেখা মেলে হারানো পিঙ্কুর। গ্রামে গিয়ে তিনি নিজেই নিজের পরিচয় দিয়ে মায়ের খোঁজ করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় দিল্লিতে। ছুটে আসেন দম্পতি। মায়ের সঙ্গে দেখা হলে তাঁর কাছে ভিক্ষা চান সাধুবেশী পুত্র। জানান, তাঁদের সম্প্রদায়ে এই নিয়ম রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মায়ের কাছ থেকে ভিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। সেই রীতি পালন করতেই ফিরেছেন তিনি।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে মা-ছেলের মিলনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, সাধুর বেশে হাতে সারেঙ্গি নিয়ে একমনে গান গেয়ে চলেছেন যুবক। তাঁর পাশে বসে অঝোরে কেঁদে চলেছেন তাঁর মা। রাজার রাজপাট ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়ার গল্পই গানের মাধ্যমে তুলে ধরছিলেন যুবক। যা সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

ছেলের চেহারায় একটি দাগ দেখে তাঁকে চিনতে পারেন মা। কিন্তু তাঁকে আটকে রাখতে পারেননি। যুবক নিজেই মায়ের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে ফিরে গিয়েছেন। যে ধর্মীয় সংগঠনের আশ্রয়ে ওই যুবক থাকেন, তাঁরা যুবককে ফেরানোর জন্য ১১ লাখ টাকা দাবি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, ওই টাকা দিয়ে ছেলেকে ফেরানোর মতো সামর্থ্য তাঁর নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন