police

‘রানি নেহি হ্যায় তো ক্যায়া হুয়া’, পুলিশের চেয়ারে বসে ডায়ালগ! ভাইরাল হতে সেই থানারই হাজতে

আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তের থেকে টাকা ফেরত নিতে থানায় এসেছিলেন সুরেশ। আর তখনই পুলিশ আধিকারিকের চেয়ারে বসে ভিডিয়ো তোলেন। যা ভাইরাল হয়ে বিপত্তি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঠাণে শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৬
Share:

থানায় পুলিশ আধিকারিকের চেয়ারে বসে দুলে চলেছেন সুরেশ পাটিল। ছবি: সংগৃহীত।

এ যেন সিনেমা। মাথায় ফেট্টি। কপালে তিলক। থানায় পুলিশ আধিকারিকের চেয়ারে বসে দুলে চলেছেন। হাত নাড়ছেন। মুখে সিনেমার সংলাপ। এ সব করেই ক্ষান্ত থাকেননি ওই ব্যক্তি। ভিডিয়ো তুলে পোস্ট করেন নেটমাধ্যমে। সেই ভিডিয়োই কাল হল তাঁর। তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে এল ওই থানারই পুলিশই। আপাতত ঠাণের সেই মানপদা থানাতেই রয়েছেন অভিযুক্ত।

Advertisement

ঠাণেতে নির্মাণের ব্যবসা রয়েছে সুরেশের। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পুলিশ আধিকারিকের চেয়ারে বসে বলছেন, ‘‘রানি নেহি হ্যায় তো ক্যায়া হুয়া, ইয়ে বাদশা আজ ভি লাখো দিলো পে রাজ করতা হ্যায়।’’ অর্থাৎ, ‘‘রানি নেই তো কি! এই বাদশাহ আজও লাখ লাখ মানুষের মনে রাজ করছে।’’ থানা তোলা এই ভিডিয়ো আবার অন্য একটি ভিডিয়োর সঙ্গে জুড়ে নেটমাধ্যমে পোস্ট করেন সুরেশ। সেই ভিডিয়োতে বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে রয়েছেন।

সুরেশের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে নকল করা, মানহানি, মানুষের জীবন বিপদে ফেলা এবং অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেশের তাঁর কাছ থেকে এক ব্যক্তি ১৯.৯৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সুরেশ। আদালতের নির্দেশে সেই টাকা ফিরিয়েও দেন অভিযুক্ত। আর সেই টাকা ফেরত নিতেই থানায় এসেছিলেন সুরেশ। আর তখনই পুলিশ আধিকারিকের চেয়ারে বসে ভিডিয়ো তোলেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন থানায় অনন্ত সাতটি অপরাধের মামলা রয়েছে সুরেশের বিরুদ্ধে। তাঁর থেকে বন্দুক (লাইসেন্স রয়েছে), পাঁচটি কার্তুজ, একটি মার্সিডিজ গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন