New GST Rates

উৎসবের আগমনীতেই জিএসটি কাঠামোর ‘শাপমোচন’! বদলাল কী? মোদী থেকে মমতা কে কী ভাবে দেখছেন এই পরিবর্তনকে

দেশীয় বাজারকে আরও সচল করতেই ২০১৭ সালে জিএসটি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু জিএসটির কর কাঠামো দেশীয় বাজারে বিশেষ গতি আনতে পারেনি। এ অবস্থায় সোমবার থেকে জিএসটির নতুন কাঠামো চালু হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৩২
Share:

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।

২০১৭ সালে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করে কেন্দ্র। কিন্তু এতগুলি বছর পেরিয়ে এসেও সেই জিএসটি ব্যবস্থা দেশীয় অর্থনীতিকে বিশেষ চাঙ্গা করতে পারেনি। কারণ, গলদ ছিল গোড়াতেই। একই ধরনের পণ্যের উপর এত দিন ভিন্ন ভিন্ন কর ছিল। যেটির দাম বেশি, সেটির উপর কর বেশি। আবার যেটির দাম কম, সেটির উপর করও কম। অনেকেই মনে করেন, জিএসটি ব্যবস্থায় আশানুরূপ ফল না-হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল এটি। এ বার নিজেদের সেই গলদ দূর করতে জিএসটি ব্যবস্থায় সরলীকরণ করল কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

মূলত দেশীয় বাজারকে আরও সচল করতেই ২০১৭ সালে জিএসটি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু জিএসটির কর কাঠামো দেশীয় বাজারে বিশেষ গতি আনতে পারেনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদাও বিশেষ বৃদ্ধি পায়নি। করোনা অতিমারি পরবর্তী সময়ে বাজারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। মূল্যবৃদ্ধি এবং গৃহস্থের হাতে টাকার অভাবের জেরে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বিক্রি শ্লথ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের জিএসটি কাঠামো নিয়ে অতীতে বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিভিন্ন সময়ে সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।

বিরোধী দলগুলি অতীতে বার বার অভিযোগ তুলেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চড়া হারে জিএসটি চাপিয়ে মানুষের উপরে করের বোঝা বৃদ্ধি করে গিয়েছে কেন্দ্র। বিভিন্ন মহলের আপত্তি থাকার পরেও মোদী সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি বলে কেন্দ্রকে বিঁধেছে বিরোধী দলগুলি। এ অবস্থায় অবশেষে সোমবার থেকে নয়া জিএসটি কাঠামো কার্যকর করছে কেন্দ্র। তার আগে রবিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও মেনে নিতে হল, সময়ের দাবি মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে এটাও বলতে হল, সব পক্ষের মতামত শুনেই জিএসটি কাঠামোয় বদল করা হচ্ছে।

Advertisement

জিএসটির নয়া কাঠামো কার্যকরের জন্য উৎসবের মরসুমের সূচনা-লগ্নকেই বেছে নিল মোদী সরকারকে। নতুন কাঠামোর জিএসটিকে ‘উৎসবের উপহার’ বলে ব্যাখ্যা করছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, এ বার ‘সাশ্রয়ের উৎসব’ শুরু হচ্ছে। কিন্তু আসলে এটি এমন একটি সময়, যখন অর্থনৈতিক ভাবে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েছে মোদী সরকার। কূটনৈতিক স্তরে মোদীর সঙ্গে যাঁর হৃদ্যতার সম্পর্ক বলে লোকমুখে প্রচলিত, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পই ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন। এই শুল্ক-সংঘাতের জেরে বেশ কিছু দেশীয় পণ্যের রফতানি ধাক্কা খেয়েছে। ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির দেশ’ বলে খোঁচা দিচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসন। তার সঙ্গে ঘরোয়া বাজারের সমস্যা তো আগে থেকেই ছিল। বিরোধীদের খোঁচাও হজম করতে হচ্ছিল তা নিয়ে।

এ অবস্থায় নিজেদের ভুল শুধরে ‘নতুন প্রজন্মের জিএসটি’ নিয়ে এল কেন্দ্র। আগে চারটি স্তরে জিএসটি আদায় করা হত— ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। এখন তা কমিয়ে মূলত দু’টি স্তর করা হল— ৫% এবং ১৮%। এ ছাড়া ৪০ শতাংশ জিএসটির একটি নতুন স্তর যুক্ত করা হয়েছে। এই ৪০% হারে জিএসটি চাপানো হয়েছে সিগারেট-সহ বিভিন্ন তামাকজাত পণ্য (ব্যতিক্রম বিড়ি) এবং আরও বেশ কিছু পণ্যের উপরে।

লালকেল্লায় এ বছর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের সময়েই নয়া জিএসটি কাঠামো কার্যকরের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে নয়া কাঠামোর কথা ঘোষণা করে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নয়া জিএসটি কাঠামোর আওতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ জিনিসেরই দাম কমে যাচ্ছে। তুলনায় অল্প কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। রবিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণেও বহু পণ্য সস্তা হওয়ার কথা জানিয়েছেন মোদী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, রাজ্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হবে জেনেও মানুষের কথা ভেবে তিনি এটি মেনে নিয়েছেন।

সস্তা হল যে পণ্যগুলি

কেন্দ্রের নয়া কাঠামোয় দাম কমল বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ওষুধ, জীবনবিমা, স্বাস্থ্যবিমা-সহ বিভিন্ন পণ্যের। যেমন দুধ, ছানা, পনির, রুটি, পাউরুটির উপর আগে পাঁচ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হত। এ বার সেগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। ফলে সেগুলির দাম কমছে বাজারে। এ ছাড়া কনডেনস্‌ড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, চিজ়, দুগ্ধজাত বিভিন্ন পণ্য, বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম এবং অন্যান্য ফল, পশুচর্বি, সসেজ়, সংরক্ষিত বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডল্‌স, স্প্যাগেটি, সব্জি, জ্যাম, জেলি, মাশরুম, নারকেলের জল, ইস্ট, সর্ষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতলেরও দাম কমছে। আগে এগুলির উপর ১২ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হত। নয়া কাঠামোয় এগুলিতে পাঁচ শতাংশ জিএসটি বসানো হল।

মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্‌স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম, জিলেটিনের উপর আগে ১৮ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হত। এখন এগুলির উপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি বসানো হল। ফলে এই খাদ্যপণ্যগুলিরও দাম কমল নয়া কাঠামোয়। এ ছাড়া, যাবতীয় জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমারও প্রিমিয়াম কমল কেন্দ্রের ‘নতুন প্রজন্মের জিএসটি’তে। জিএসটি কমানো হয়েছে টিভি, এসি, ছোট গাড়ি এবং ৩৫০ সিসি-র নীচে বাইকেরও। ফলে সেগুলির দামও কমছে। পাশাপাশি সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার উপর জিএসটি কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। নয়া কাঠামোয় দাম কমছে এই পণ্যগুলিরও।

দাম বাড়ল কোন পণ্যগুলির?

সিগারেট-সহ বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের উপর জিএসটি বৃদ্ধি করে ৪০ শতাংশ করে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী বিড়ি। বিড়ির পাতার উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সিগারেট এবং অন্য তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও বিড়ির দাম কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া পানমশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বনযুক্ত পানীয়ের উপরেও জিএসটি বৃদ্ধি করে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সেগুলির দামও বাড়ল নয়া জিএসটি কাঠামোয়। পাশাপাশি বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিং গাড়ির উপরেও জিএসটি বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ শতাংশ হয়েছে। এগুলিরও দাম বৃদ্ধি পেল। বস্তুত, এই ৪০ শতাংশ করের আওতায় বেশির ভাগই অস্বাস্থ্যকর পণ্য রয়েছে। কেন্দ্রের ভাষায়, ‘পাপের সামগ্রী’ (সিন গুড্‌স)-এর ক্ষেত্রেই তারা এই বর্ধিত হারে কর চাপাচ্ছে।

নতুন দাম কবে থেকে?

কিন্তু পণ্যের প্যাকেটে পুরনো মুদ্রিত মূল্যই ছাপা থাকবে কি না, তা নিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে একটি সংশয় তৈরি হয়েছিল। যদিও কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে পণ্যের নতুন দাম জানানোর জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন না-দিলেও চলবে। নতুন প্যাকেট বা মোড়কের উপর স্টিকার লাগিয়ে ক্রেতাদের নতুন দাম জানানো যেতে পারে। এই ভাবে ২২ সেপ্টেম্বরের আগেই তৈরি হওয়া বা প্যাকেটজাত করা জিনিস নতুন দামে বিক্রি করতে হবে। প্যাকেটে পুরনো দাম দেখা গেলেও অসুবিধা নেই বলে জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। অর্থাৎ, একটি প্যাকেটে দু’টি দামের উল্লেখ থাকবে। একটি পুরনো দাম, আর একটি নতুন। সে কারণে ক্রেতাদের মুদ্রিত মূল্য ভাল করে খুঁটিয়ে দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অথবা যত দিন না দোকানে থাকা পণ্য পুরো শেষ হচ্ছে, তত দিন পুরনো মোড়ক বা প্যাকেটে জিনিস বিক্রি করা যাবে।

বিভ্রান্তি যাতে না-ছড়ায়, তার জন্য সব রকম মাধ্যম ব্যবহার করে সংস্থাগুলিকে দোকানদার এবং ক্রেতাদের নতুন দাম নিয়ে অবহিত করার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে নতুন মূল্যতালিকা তুলে দিতে হবে খুচরো এবং পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে। মূল্যতালিকা দিতে হবে ‘লিগ্যাল মেট্রোলজি’ কর্তৃপক্ষকেও। তবে বাণিজ্যমহলের একাংশের আশঙ্কা, ছোট দোকানগুলিতে ক্রেতাদের কাছে পুরনো দামেই জিনিস বিক্রি করা হতে পারে।

মোদীর ‘সাশ্রয় উৎসব’

নতুন জিএসটি ব্যবস্থাকে দেশবাসীর জন্য ‘সাশ্রয় উৎসব’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদী বলেন, “নবরাত্রির প্রথম দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) কার্যকর হয়ে যাবে।” দেশকে আত্মনির্ভর করার দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন তিনি। মোদীর বক্তব্য, সোমবার থেকে দেশবাসীর সাশ্রয় শুরু হবে। নয়া জিএসটি কাঠামোর ফলে দেশবাসীর সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক পণ্য সস্তা হয়ে যাবে। এর ফলে দেশবাসী নিজেদের পছন্দ মতো জিনিস সহজেই কিনতে পারবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

জিএসটির নয়া কাঠামোর সুফল বোঝানোর সময়ে দেশবাসীকে স্বদেশি পণ্যের উপর আরও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন মোদী। তাঁর কথায়, “ভারত যখন উন্নয়নের শিখরে ছিল, তখন দেশের অর্থব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল ক্ষুদ্র-মাঝারি-কুটির শিল্প। ভারতে তৈরি পণ্যের মান অত্যন্ত ভাল হত। সেই গৌরবময় অধ্যায়কে পুনরুদ্ধার করতে হবে।” কথা প্রসঙ্গে নয়া জিএসটি কাঠামোকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেও জুড়ে দেন তিনি। মোদী বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলন যেমন স্বদেশি মন্ত্রে শক্তি পেয়েছে, তেমনই দেশের উন্নতিতেও স্বদেশি মন্ত্রই শক্তি জোগাবে।” দৈনন্দিন জীবনে বিদেশি পণ্য ব্যবহারের চল থেকে বেরিয়ে এসে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যের ব্যবহারের দিকে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন মোদী। স্বদেশি পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারগুলিকেও এগিয়ে আসার বার্তা দেন তিনি।

ক্ষতি জেনেও সায় মমতার

সোমবার থেকে জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধারাবাহিক ভাবে এ বিষয়ে কেন্দ্রের উপর চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। গত বছরের লোকসভা ভোটের আগেই এই দাবিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলাকে চিঠি লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার প্রধানমন্ত্রী যখন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা তখন দক্ষিণ কলকাতায় বিভিন্ন পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করছিলেন। মোদীর বক্তৃতা যখন শেষ হয়, তখন তিনি ৯৫ পল্লীর পুজোমণ্ডপে। সেখান থেকেই মমতা আবার স্মরণ করিয়ে দেন, বিমায় জিএসটি ছাড়ের জন্য তিনিই কেন্দ্রকে প্রথম থেকে চাপ দিচ্ছিলেন। মমতা বলেন, “আমি একটা কথাই বলি, এই যে ইন্সিওরেন্সের থেকে টাকা বা জিএসটি কমানো বা না থাকা। ফার্স্ট চিঠি আমি লিখি।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এর জন্য ক্রেডিট কার জানেন? যাঁরা ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁদের নয়, ক্রেডিট হচ্ছে রাজ্যের।’’ মমতার কথায়, ‘‘এর জন্য আমাদের রাজ্যের কত লোকসান হয়েছে জানেন? আমাদের রেভিনিউ আর্নিং যা দিয়ে আমি কখনও লক্ষ্ণীর ভান্ডার করি। কখনও বিনা পয়সায় রেশন দিই। কখনও কৃষক বন্ধু দিই। কখনও সাইকেল দিই। কখনও ট্যাব দিই। আমরা বলেছি, কোনও ইন্সিওরেন্সের প্রিমিয়াম যেন বাড়ানো না হয়। এটার জন্য আমাদের রাজ্যে রেভিনিউ লোকসান হচ্ছে ৯০০ কোটি টাকা। বাদবাকি নিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।’’ জাতির উদ্দেশে ভাষণের সময় জিএসটির এই নতুন কাঠামোকে ‘সাশ্রয় উৎসব’ ব্যাখ্যা করেন মোদী। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘এরা চোখে দেখতে পায় না। জিএসটির ক্রেডিট রাজ্যের, আমার রাজ্যের মানুষ যে বেনিফিট পাবে, তার জন্য আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকার রেভিনিউ লস হচ্ছে। এটা স্টেটের জিএসটি, সেন্ট্রালের নয়। কাজেই পুজোর দিনে এগুলোর সুবিধা নিন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement