—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মাওবাদী নেতা মাসা নিহত হয়েছেন। তাঁর মাথার দাম ছিল আট লক্ষ টাকা। বুধবার সকালে কাঁকের জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ছত্তীসগঢ় ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড বাহিনীর তল্লাশি অভিযানের সময় সংঘর্ষে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কাঁকেরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা কল্যাণ ইলসেলা জানিয়েছেন, নিহত মাসা নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র একটি কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বুধবার সকালে নারায়ণপুর জেলার সীমানায় পার্থপুর থানার অন্তর্গত গেদাবেদা গ্রামের কাছে একটি জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দলের সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়। বাকিরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে মাসার দেহ উদ্ধার করেন জওয়ানেরা।’’ তিনি জানান, সংঘর্ষস্থল থেকে একটি ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল এবং একটি ওয়াকিটকিও উদ্ধার করা হয়েছে।
ছত্তীসগঢ় পুলিশের আইজি (বস্তার) সুন্দররাজ পি বলেন, ‘‘কঠিন ভৌগোলিক পরিস্থিতি এবং প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও মাওবাদী দমন অভিযানে সাফল্যের নজির তৈরি করেছে ছত্তীসগঢ়। তিনি জানান, চলতি বছরে বস্তারে সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও, পলিটব্যুরোর সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর, রবি ভেঙ্কাটা লক্ষ্মী চৈতন্য ওরফে অরুণার মতো শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতা-নেত্রীরা যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। মাসা হলেন নিহত পঞ্চম মাওবাদী নেতা, যাঁর মাথার দাম আট লক্ষের বেশি।