মাদক রাখার অপরাধে জাপানে দু’বছরের জেল হয়েছে শিল্পপতি নেস ওয়াদিয়ার। গত মার্চে জাপানে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই চরস রাখার অপরাধে তাঁকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপে নিউ চিতোসে বিমানবন্দরে নেসের ট্রাউজারের পকেট থেকে ২৫ গ্রাম চরস উদ্ধার হয়, জানিয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম।
২৮৩ বছরের প্রাচীন ব্যবসার উত্তরাধিকারী নেস। শিল্পপতি নাসলি ওয়াদিয়ার সন্তান তিনি।
ওয়াদিয়া গ্রুপের উত্তরাধিকার নেস ওয়াদিয়া। বম্বে ডায়িং, বম্বে বর্মণ ট্রেডিং, ব্রিটানিয়া বিস্কুট, গোএয়ারের মতো সংস্থা তাদের অধীনে।
এ ছাড়াওআইপিএল ক্রিকেট টিম কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মালিকানাও রয়েছে নেস ওয়াদিয়ার হাতে।
ওয়াদিয়া গ্রুপের মোট সম্পত্তির বাজার দর প্রায় ৯ লক্ষ ১ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। (১৩.১ বিলিয়ন ডলার)
২০১১ সাল পর্যন্ত এই বিশাল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী ভাবা হত নেসকেই। এর পর উঠে আসেন নেসের ভাই জাহাঙ্গির ওয়াদিয়া। নেসকে সরিয়ে বম্বে ডাইংয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন তিনি।
ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষে রয়েছেন নেস, এর মধ্যে ওয়াদিয়া হাসপাতাল অন্যতম। ইংল্যান্ডের লিভারপুলে পার্সি পরিবারে জন্ম হলেও স্কুল ছিল হিমাচলপ্রদেশে। এর পর ইংল্যান্ডের একটি স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন তিনি।
পরবর্তীতে বস্টনের টাফ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পরে ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করেন মেধাবী ছাত্র নেস।
তবে নেসের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টার নাম জুড়ে যাওয়াটা তাঁকে সংবাদের শিরোনামে নিয়ে আসে। পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল নেস ও প্রীতির। ২০১৪ সালে প্রেমিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও হুমকির অভিযোগ আনেন প্রীতি। সমস্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন নেস।
অভিযোগ, ২০১৪ সালের ৩০ মে চেন্নাই-পঞ্জাব ম্যাচে (সে দিন ছিল নেসের জন্মদিন) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন নেস। ঝগড়ার সময়ে নেস নাকি প্রীতির হাত ধরে এমন টেনেছিলেন যে, নায়িকার চোটও লাগে।
কিংস ইলেভেনের মনোবল অটুট রাখতেই টুর্নামেন্ট চলাকালীন মুখ খোলেননি বলে দাবি করেছিলেন প্রীতি। ২০১৮ সালে যদিও বম্বে হাইকোর্টে এই মামলা খারিজ হয়ে যায়।
নেস এবং তাঁর ভাই জাহাঙ্গির, মহম্মদ আলি জিণার মেয়ে দিনা ওয়াদিয়ার নাতি। পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেলের জিণার গ্রেট গ্র্যান্ডসন নেস।