New Chief Election Commissioner

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, তাঁর হাতেই থাকবে ২০২৬-এ বাংলার বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব

২০২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে থাকবেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে বিধানসভা ভোট হবে কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:০৮
Share:

দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে জ্ঞানেশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে জ্ঞানেশ কুমারকে নিয়োগ করা হল। মঙ্গলবার অবসরগ্রহণ করবেন দেশের বর্তমান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন জ্ঞানেশ। ২০২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে থাকবেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে বিধানসভা ভোট হবে কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে বাংলার বিধানসভা ভোটের দায়িত্ব থাকবে প্রাক্তন এই আমলার হাতেই।

Advertisement

২০২৭ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। সেই ভোটও পরিচালনা করবেন জ্ঞানেশ।

১৯৮৮ সালের কেরল ব্যাচের আইএএস আধিকারিক জ্ঞানেশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেন কানপুর আইআইটি থেকে। তার পর পরিবেশ সংক্রান্ত অর্থনীতি নিয়ে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। কর্মজীবনে কেরলের একাধিক প্রশাসনিক পদে থেকেছেন জ্ঞানেশ। স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব হিসাবেও দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি।

Advertisement

নতুন নির্বাচন কমিশনার বাছতে সোমবার বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিটির তিন সদস্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাতে কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে নিয়োগ করা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে যে দু’জন নির্বাচন কমিশনার দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের অন্যতম জ্ঞানেশ। প্রাক্তন ওই স্বরাষ্ট্রকর্তা অমিত শাহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত।। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল তাঁর। জ্ঞানেশের ছেড়ে যাওয়া পদে নিযুক্ত হয়েছেন বিবেক জোশী।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশনারের নয়া নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানান রাহুল। বর্তমানে বাছাই কমিটির তিন সদস্যের মধ্যে দু’জন সরকারের মন্ত্রী। তাই রাহুলের যুক্তি, ‘‘বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত সর্বদাই একতরফা হবে।’’ অতীতে কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ছাড়া তৃতীয় সদস্য হিসাবে থাকতেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সরকার সেই নিয়মে বদলে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করে। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement