(বাঁ দিকে) রাজ সিংহ কুশওয়াহা এবং সোনম রঘুবংশী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় খুনের তদন্তে সোনম রঘুবংশীর চর্চিত ‘প্রেমিক’কেও গ্রেফতার করল পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের ইনদওর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ সিংহ কুশওয়াহাকে। মেঘালয় পুলিশের একটি দল এবং মধ্যপ্রদেশ পুলিশ রবিবার রাতে যৌথ অভিযান চালায় ইনদওরে। সেই অভিযানেই কুশওয়াহাকে পাকড়াও করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন মেঘালয়ের পূর্ব খাসি জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম।
সোমবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন সোনম। ওই সময় প্রাথমিক ভাবে আরও তিন জনের গ্রেফতারির খবর পাওয়া যায়। তবে তাঁদের পরিচয় সেই সময় প্রকাশ্যে আসেনি। দুপুরে পূর্ব খাসির পুলিশ সুপার জানান, ২১ বছর বয়সি কুশওয়াহা ছাড়াও ইনদওর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশাল সিংহ চৌহান নামে ২২ বছর বয়সি এক তরুণকে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আকাশ রাজপুত নামে ১৯ বছর বয়সি এক অভিযুক্তকে।
পুলিশ সুপার জানান, প্রথমে ললিতপুর থেকে আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরে ইনদওর থেকে কুশওয়াহা এবং বিশাল ধরা পড়েন। পুলিশি অভিযান শুরু হওয়ার পরেই উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরের থানায় আত্মসমর্পণ করেন সোনম। পরে এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলা থেকে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হল। সোনমকে নিজেদের হেফাজতে নিতে ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে মেঘালয় পুলিশের একটি পৃথক দল।
মেঘালয় পুলিশের সন্দেহ, অভিযুক্তেরা ২৩ মে রাজা রঘুবংশীকে খুন করেছিলেন। সেই দিনই তাঁরা এলাকা ছেড়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ। পূর্ব খাসি জেলার পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি খুন বলে মনে হয়নি। কোনও পর্যটক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে মনে হয়েছিল এবং সেই মতোই খোঁজ চলছিল। কিন্তু যুবকের দেহ খুঁজে পাওয়ার পরে ঘটনাটি ‘খুন’, তা স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে। তার পরেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়।
ইনদওর থেকে ধৃত কুশওয়াহা কি সোনমের প্রেমিক? তাঁরা কি পরিকল্পনা করেই খুন করেছেন রাজাকে? সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনা পরম্পরাগুলিকে যুক্ত করলে তেমনটাই মনে হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, ঘটনার সময় কুশওয়াহা সোনমের সঙ্গেই ছিলেন। তাঁদের মেঘালয়ে নিয়ে এসে জেরা করলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।