রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন হয়ে গেল, এখনও লুকোচুরি দশা কাটছে না কর্নাটকের কংগ্রেস এবং জেডিএস বিধায়কদের! ভয়, বিধানসভায় আস্থাভোটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরলে যদি ‘ছেলেধরা’ ধরে নিয়ে যায়!
ছেলেধরা অর্থাৎ অমিত শাহ এবং তাঁর ‘জিরো জিরো সেভেন’রা আপাতত শ্যেনদৃষ্টি রাখছেন শহরের দু’টি হোটেলের উপর। হোটেল হিলটনে কার্যত আটকে রাখা হয়েছে জেডিএস বিধায়কদের। লে মেরিডিয়ানে রয়েছেন কংগ্রেস বাহিনী। ঘরের মধ্যেই যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে তাঁদের বাইরে যেতে না হয়। পরিস্থিতি এমনই যে তাঁদের পরিবারের লোকজনও বাইরের ‘পাহারদার’দের কৈফিয়ত দিয়ে ভিতরে ঢুকছেন দেখা করতে!
তিরে এসে যাতে তরী না ডোবে, সে কারণেই এই সতর্কতা। জেডিএস শিবিরের অভিযোগ, প্রকাশ্যে কোনও চক্ষুলজ্জা না রেখেই টাকার থলি নিয়ে ঘুরছেন বিজেপি কর্তারা। এখনও তাঁরা চেষ্টা করছেন, আস্থাভোটের দিন যেনতেন প্রকারেণ কংগ্রেস-জেডিএস-এর সংখ্যা কমাতে।
আরও পড়ুন:
জোট মসৃণ, আজ শপথ নেবেন কুমারস্বামী
শোলের মাটিতে অনড় প্রথমা, ফিরছেন রাধাও
এর আগেও কংগ্রেস বিধায়কদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লুকিয়ে রাখার জন্য। নজর ছিল মায়াবতীর বিধায়কের দিকেও।
“কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের প্রতিরক্ষা ভেদ করতে পারেনি বিজেপি। যদিও ফোনে যে লোভ দেখানোর খেলা চলছে, এমন তথ্যও আমাদের কাছে রয়েছে,” জানাচ্ছেন এক জেডিএস নেতা। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির এ ভাবে প্রকাশ্যে বিধায়ক কেনার প্রয়াস অতীতের সব ভোট-দুর্নীতির রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।