নতুন বিরোধী দলনেতা নিয়োগকে ঘিরে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করলেন কংগ্রেসের সিংহভাগ বিধায়ক। সম্প্রতি ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দেন কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মন। শুরু হয় জল্পনা, কে হবেন পরবর্তী নেতা। গত কালই ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিন্হা কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে গোপাল রায়কে মনোনীত করেন। এবং তাঁকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেন্দ্র দেববনাথকে একটি চিঠি দেন বীরজিতবাবু।
৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০। সেই দশ বিধায়কের মধ্যে ছ’জনই পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে গোপাল রায়কে মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন। এঁরা হলেন: সুদীপ রায়বর্মন, আশিস সাহা, প্রাণজিত সিংহরায়, জিতেন সরকার, দিবাচন্দ্র রাংখল এবং বিশ্ববন্ধু সেন। আপত্তির কথা জানিয়ে তাঁরা দল সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে সুদীপবাবু জানান। সুদীপবাবু বলেন, ‘‘গোপাল রায়ের প্রতি দলের ছ’জন বিধায়কের কোনও আস্থা নেই, সে কথা জানানোর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কে হবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, সেই অনুরোধও হাইকম্যান্ডকে করেছি।’’
প্রদেশ সভাপতি বীরজিত সিন্হা
বলেন, ‘‘বিধানসভায় দলীয় নেতা ঠিক করার দায়িত্ব দলের হাইকম্যান্ডের। এআইসিসি গোপাল রায়ের নাম জানানোর পরই আমি বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছি।’’ তিনি দলের বিধায়কদের সঙ্গে আগাম কথা বলেছেন বলে দাবি বীরজিতবাবুর।