উদ্ধার: বারাণসীতে ভেঙে পড়া উড়ালপুলের কাছে চলছে উদ্ধারকাজ। বুধবার। পিটিআই
নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে উড়ালপুল ভাঙার ঘটনায় গত কালই সমবেদনা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর। নরেন্দ্র মোদী কী ভাবে কলকাতার পোস্তার উড়ালপুল ভেঙে যাওয়া নিয়ে রাজনীতি করেছিলেন, আজ সকালে তা নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আবার নির্মীয়মাণ সংস্থার একাংশের দাবি, অক্টোবরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার জন্য প্রশাসন ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। কারণ ডিসেম্বরে সেতুটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা করেছিলেন স্থানীয় সাংসদ নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রে হওয়া ওই দুর্ঘটনা নিয়ে আজ কোনও বিরোধী দলই রাজনীতিতে নামেনি। তবে তৃণমূলের এক নেতার কথায়— মোদী কিন্তু পোস্তার সেতু ভাঙা নিয়ে চরম রাজনীতি করেছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পোস্তায় হওয়া দুর্ঘটনা নিয়ে বিধানসভা ভোটের সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেছিলেন— নির্বাচনের সময়ে সেতু ভাঙায় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী কেমন শাসন চালিয়েছেন। ভগবানও জনগণকে বার্তা দিতে চেয়েছেন— আজ ওই পুল ভেঙেছে, কাল গোটা বাংলা ছারখার করে দেবে। এ নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি বিজেপি।
বারাণসীর ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন ও লহরতারা এলাকার মধ্যে ওই সেতু ভাঙার ঘটনায় নির্মাণকারী সংস্থা উত্তরপ্রদেশ ব্রিজ কর্পোরেশন ছাড়াও ওই সংস্থার মুখ্য প্রকল্প ম্যানেজার এইচ সি তিওয়ারি, প্রকল্প ম্যানেজার কে আর সুদন, সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রাজেন্দ্র সিংহ ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার লালচাঁদকে সাসপেন্ড করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত কালের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ জানালেও, এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিশেষ হেলদোল নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ময়নাতদন্তের পরে মৃতদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আজ ঘুষ নিতে দেখা যায় হাসপাতালের মর্গের কিছু কর্মীকে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরেতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে দু’টি স্তম্ভের মধ্যে থাকা কংক্রিটের ওই চাঁইটি ঠিক ভাবে লাগানো হয়নি বলেই দুর্ঘটনা। নির্মাণকর্মীদের দাবি, অখিলেশ সরকারের আমলে ঘোষিত ওই প্রকল্পটি অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করার জন্য চাপ ছিল। নিজের ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মোদী।