— ফাইল চিত্র।
গ্রেটার নয়ডায় পণের দাবিতে বধূ খুনের ঘটনায় এ বার ধরা পড়লেন শাশুড়িও। রবিবার দুপুরেই পুলিশের হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন অভিযুক্ত স্বামী বিপিন ভাটি। তখনও ভাটি পরিবারের বাকিরা ফেরার ছিলেন। তাঁদের খোঁজে চলছিল তল্লাশি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ বার মৃতার শাশুড়িকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় জেআইএমএস হাসপাতালের কাছ থেকে মৃতার শাশুড়ি দয়াবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের গুলিতে আহত ছেলে বিপিনকে দেখতে লুকিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পথেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, অভিযুক্ত বিপিনকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।
২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর ভাটি পরিবারের দুই ছেলে বিপিন এবং রোহিতের সঙ্গে নিকি এবং তাঁর দিদি কাঞ্চনের বিয়ে হয়। দুই মেয়ের বিয়েতে সাধ্যমতো যৌতুক দিয়েছিল তাদের পরিবার। স্করপিয়ো গাড়ি, এনফিল্ড বাইক, নগদ, সোনা— নানা উপহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুশি ছিলেন না। আরও পণ চেয়ে প্রায়ই দুই বোনকে মারধর করা হত বলে দাবি। গত বৃহস্পতিবারও পণের দাবিতে নিকিকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি। অভিযোগ, চুলের মুঠি ধরে নিকিকে সিঁড়ি দিয়ে টানতে টানতে নীচে নিয়ে আসেন বিপিন। তার পর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। কাঞ্চন বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় তাঁকেও। নিকির ছ’বছরের ছেলের কথায়, প্রথমে বাবা আর ঠাকুমা মায়ের গায়ে তরল কিছু ঢেলে দেয়। তার পর লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।