Mumbai Court

যাবজ্জীবন সাজা ‘কঠোর হয়ে যাবে’! নির্যাতিতার কথা ভেবে ধর্ষক বাবাকে সংশোধনের সুযোগ দিল আদালত

তিন বছর ধরে নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল মুম্বইয়ের আদালত। নির্যাতিতার কথা বিবেচনা করেই ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৫ ২১:৪২
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তিন বছর ধরে নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত বাবাকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের আদালত। ৪০ বছর বয়সি ওই দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলে, তা ‘কঠোর পদক্ষেপ’ হয়ে যাবে বলে মনে করছে আদালত। বস্তুত, নির্যাতিতা এবং তার বোনেদের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের ওই নির্যাতিতা নাবালিকার মা আগেই প্রয়াত হয়েছেন। মামলার বিচার চলাকালীনও সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে আদালত। সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া’-র প্রতিবেদন অনুসারে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক এডি লোখান্ডে জানিয়েছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলে তা একটি ‘কঠোর পদক্ষেপ’ হবে। দীর্ঘদিন বন্দি থাকলে বাবার আচরণে আমূল পরিবর্তন আসবে, এখনও সেই আশায় রয়েছে নির্যাতিতা এবং তার বোনেরা। তারা আশা করছে ভবিষ্যতে বাবা তাদের পাশে থাকবে। সেই কারণেই অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পরিবর্তে অন্তত ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া শ্রেয় বলে মনে করছেন বিচারক।

প্রতিবেদন অনুসারে, নাবালিকার উপর ওই নির্যাতন শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। ২০২০ সাল পর্যন্ত এই নির্যাতন চলেছিল বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। প্রথম দিকে বিষয়টি কী ঘটছে, তা বোঝার মতো অবস্থায় ছিল না ওই নাবালিকা। পরে স্কুল থেকে বিষয়টি বুঝতে পারে সে। তখন বাবাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার। ঘটনার কথা এক আত্মীয়াকেও জানিয়েছিলেন সে। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। বস্তুত, এই মামলায় ওই আত্মীয়াও অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন।

Advertisement

যদিও পরে নাবালিকার গোপন জবানবন্দির পরে ওই আত্মীয়াকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। আদালতে নাবালিকা জানায়, ওই আত্মীয়া তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাবেন। আদালত জানিয়েছে, ওই শিশু নিজের বাবার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ জানানোয় তা প্রাথমিক ভাবে বিশ্বাসযোগ্য ধরে নেওয়া কঠিন হয়েছিল আত্মীয়ার জন্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement