প্রতীকী ছবি।
গুজরাতের নওসারী উপকূলে পরিত্যক্ত এক নৌকাকে ঘিরে রহস্য বাড়ছে। মাসখানেক আগে নৌকাটিকে দেখতে পান পুরুষোত্তম তান্ডেল নামে এক মৎস্যজীবী। ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেই নৌকার সঙ্গে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের নৌকার কোনও মিল নেই। আর এখান থেকেই সন্দেহ তৈরি হয়। পরিত্যক্ত ওই নৌকাটিকে পারে নিয়ে আসেন তান্ডেল।
নওসারীর গণদেবী তালুকের ভাট গ্রামের বাসিন্দা তান্ডেল। তাঁদের গ্রাম থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সমুদ্র। মাছ ধরার জন্য প্রতি দিনই জাল পাতেন তান্ডেল। জালে মাছ পড়ল কি না সকালে উঠে তা দেখতে যান। সে রকমই এক দিন সকালে তিনি মাছ ধরার জাল পরীক্ষা করছিলেন, তখন তাঁর নজরে পড়ে নৌকাটি। পার থেকে কিছুটা দূরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ভাসছিল সেটি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে তান্ডেল বলেন, ‘‘আমি যখন মাছ ধরার জাল দেখতে গিয়েছিলাম, তখনই নজরে পড়ে পার থেকে কিছুটা দূরে বড় কিছু একটা ভাসছে। সমুদ্রে নেমে সাঁতরে সেটির কাছে যাই। আধ ঘণ্টা ধরে সাঁতরানোর পর যখন ওই ভাসমান জিনিসটির কাছে পৌঁছোলাম, তখন দেখলাম সেটি একটি মোটরচালিত নৌকা। সেটির ভিতরে বালি ছিল। নৌকাটিকে পারে নিয়ে আসি।’’
তান্ডেল আরও জানিয়েছেন, নৌকাটিকে যাতে কেউ চুরি করে নিয়ে না যায়, তার জন্য সেটির মোটর খুলে রেখেছিলেন তিনি। নৌকাটি পরিষ্কার করার সময় তান্ডেলের নজরে আসে নৌকার গায়ে আরবি কিংবা উর্দু ভাষায় কিছু লেখা। আর তার পর থেকেই তাঁর সন্দেহ এবং আতঙ্ক বাড়ে। এই নৌকার খবর গ্রামে হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে। কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশকে খবর দেন তান্ডেল। নওসারী মেরিন থানা থেকে পুলিশ এসে নৌকাটি পরীক্ষা করে। দু’টি মোটর বাজেয়াপ্ত করে। শুক্রবার রাজ্যের সন্ত্রাসদমন শাখা এবং ফরেন্সিক দফতরের কর্মীরা নৌকাটি পরীক্ষা করতে ভাট গ্রামে আসে। নওসারী মেরিন থানার ইনস্পেক্টর এমআর ছাবড়া বলেন, ‘‘নৌকাটি এবং সেটির মোটরকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নৌকার গায়ে কী লেখা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নৌকাটি পাকিস্তানের না কি ইরানের, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’