হিন্দুত্বের বার্তা দিতে ফের নেপাল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এ বার সফরে তাঁর মূল লক্ষ্য থাকছে এগুলোই। শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে, ডিসেম্বরের গোড়ায় নেপাল গিয়ে দু’দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত ট্রেন যোগাযোগের উদ্বোধন করবেন মোদী

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

ফাইল চিত্র।

বেজিং-এর প্রভাব কমাতে ও ঘরোয়া রাজনীতিতে বার্তা দিতে হিন্দুত্বের জমকালো প্রদর্শনী। পাশাপাশি ‘হিমালয়ের রাজধানী’র সঙ্গে বিনিয়োগের সেতু গড়ে তাকে কাছে টানার চেষ্টা।

Advertisement

এই নিয়ে পঞ্চম বার কাঠমান্ডু যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এ বার সফরে তাঁর মূল লক্ষ্য থাকছে এগুলোই। শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে, ডিসেম্বরের গোড়ায় নেপাল গিয়ে দু’দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত ট্রেন যোগাযোগের উদ্বোধন করবেন মোদী। পাশাপাশি, জনকপুরে রাম-জানকি বিবাহ পঞ্চমী উৎসবে (১২ ডিসেম্বর) যোগ দেবেন তিনি। নেপালের এটি অন্যতম মুখ্য হিন্দু উৎসবও বটে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ওই উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য প্রতীকী ‘বরাত’ অর্থাৎ বিবাহ শোভাযাত্রা নিয়ে জনকপুর যাবেন মোদী। বিজেপির শীর্ষ নেতারা ছাড়া এই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার কথা ভারতীয় আমলাদেরও।

সূত্রের মতে, এই পদক্ষেপের পিছনে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের ঘরোয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও আছে। বিষয়টি শুধু নেপালকে খুশি করতেই যে করা, তা নয়। উনিশের লোকসভা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো নেপালের সীমান্তবর্তী রাজ্য ও দেশের অন্যত্রও রাম-সীতাকে ঘিরে হিন্দুত্বের জোয়ার তোলাটাও মোদীর লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে।

Advertisement

আজ নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের পাশ্বর্বৈঠকে বসেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি। মোদীর আসন্ন সফর ও দ্বিপাক্ষিক যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলি সময়ের মধ্যে দ্রুত শেষ করা নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে। যে রেল লাইনগুলির উদ্বোধন করা হবে তার মধ্যে অন্যতম বিহারের জয়নগর এবং নেপালের জনকপুর ব্রডগেজ লাইন। লাইনটি বসানো হয়েছিল ব্রিটিশ রাজত্বের সময়ে। নেপালের মাহোত্তোরি জেলার জঙ্গল থেকে কাঠ ভারতে নিয়ে আসার জন্য সে সময় ব্যবহার করা হত বাহান্ন কিলোমিটার লম্বা এই লাইনটিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement