Nepal Plane Crash

ছাইয়ের গাদায় কোথাও কি আছে ছেলের শরীরের টুকরো! কান্না নদীতে অস্থি ভাসাতে চাওয়া বাবা-মায়ের

বিশালের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে পাথর তাঁর বাবা-মা, তিন বোন ও ভাই বিশ্বজিৎ। বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘কী ভাবে দেহ দাহ হবে এবং দেহাবশেষ আদৌ এসে পৌঁছবে কি না, সেই বিষয়ে আমরা আশঙ্কায় ভুগছি।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১০
Share:

বিমান দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে উদ্ধারকারী দল। ছবি: রয়টার্স।

রবিবার সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের তরতাজা ৫ যুবকের। যাঁদের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি গাজিপুরের বারেসারে। মৃত্যুর খবর বারেসারে পৌঁছতেই শোকের ছায়া ওই চার পরিবারে। দুর্ঘটনার ভয়াবহতার বিবরণ শুনে সদ্য স্বজনহারাদের যে আশঙ্কা গ্রাস করেছে, তা হল নিহতদের দেহাবশেষটুকুও তাঁদের হাতে এসে পৌঁছবে তো?

Advertisement

গাজিপুরের ওই ৪ যুবকের নাম সোনু জয়সওয়াল (২৯), অনিল রাজভর (২৮), বিশাল শর্মা (২৩), অভিষেক সিংহ কুশওয়াহা (২৩)। ১৩ জানুয়ারি তাঁরা কাঠমান্ডু পৌঁছেছিলেন। রবিবার সকালে পশুপতিনাথ মন্দিরে পুজো দিতে এবং প্যারাগ্লাইডিং করতে তাঁরা পোখরার উদ্দেশে রওনা দেন। যাত্রাপথেই বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ যায় তাঁদের।

অভিষেকের বড় ভাই অভিনয় বলেন, ‘‘নেপাল ও ভারতীয় দূতাবাস থেকে আমাদের একাধিক ফোন করা হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছিল যে, সোমবার সকালে মৃতদেহ দিল্লি পৌঁছবে।’’

Advertisement

বিশালের মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে পাথর তাঁর বাবা-মা, তিন বোন এবং ভাই বিশ্বজিৎ। বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘কী ভাবে দেহ দাহ হবে এবং দেহাবশেষ আদৌ এসে পৌঁছবে কি না, সে বিষয়ে আমরা আশঙ্কায় ভুগছি।’’

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও জানিয়েছেন, যে দেহাবশেষগুলি পাঠানো হবে সেগুলি তাঁদেরই বাড়ির ছেলেদের তো? একই প্রশ্ন তুলেছেন সদ্য মা হওয়া সোনুর স্ত্রী। যে ভাবে বিমান দুর্ঘটনাটি হয়েছে, তাতে কারও দেহ চেনা যাবে কি না, তা নিয়েও পরিবারগুলির মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে অবতরণের কয়েক সেকেন্ড আগে ৭২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ে ইয়েতি বিমান সংস্থার এটিআর-৭২ বিমান। মাঝ আকাশেই ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারায় বিমানটি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই উল্টে গিয়ে ভয়ঙ্কর শব্দ করে মুখ থুবড়ে মাটিতে ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনাতে মারা গিয়েছেন ৫ জন ভারতীয়। মনে করা হচ্ছে, এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ওই বিমানে থাকা কোনও যাত্রীই প্রাণে বাঁচেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন