(বাঁ দিকে) ফরিদাবাদের মোবাইলের দোকানে উমর নবি এবং দিল্লি বিস্ফোরণস্থল (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিস্ফোরণের আগের দিন হরিয়ানার ফরিদাবাদেই ছিলেন উমর উন নবি। তা আগেই জানা গিয়েছিল। এ বার সেই ফরিবাদের এক দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এল। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দোকানদারকে একটি মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য দিচ্ছেন উমর। আর হাতে রয়েছে আরও একটি মোবাইল। তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, দিল্লি বিস্ফোরণের আগে উমর যে একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করেছিলেন, এই সিসিটিভি ফুটেজে তারই প্রমাণ মেলে!
তদন্তকারীদের দাবি, বিস্ফোরণের আগে উমরকে যে সব মোবাইল ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল, তা হয় তিনি কোথাও ফেলে দিয়েছেন, নয়তো কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন। কারণ, লালকেল্লার সামনে যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেই গাড়িতে উমরের সঙ্গে কোনও মোবাইল বা ডিভাইস ছিল না! প্রশ্ন উঠছে, তবে ওই মোবাইলগুলি কোথায় গেল? তদন্তকারীদের ধারণা, সেই মোবাইলগুলির সন্ধান পেলে, অনেক নতুন তথ্যের সন্ধান মিলতে পারে। উমরের সঙ্গে কাদের কাদের যোগাযোগ ছিল, তা-ও কিছুটা স্পষ্ট হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে ছড়িয়েছিটিয়ে পড়েছিল দেহাংশ। উদ্ধারকাজের তৎপরতার মাঝেই পুলিশের এক আধিকারিক সাদা হুন্ডাই গাড়িটির ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কালো স্পোর্ট্স শু দেখতে পান। কিছু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর নিকটবর্তী একটি গাছের ডালে পাওয়া যায় মেরুন কাপড়ের টুকরো। বিভিন্ন জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে উমরকে যতটুকু দেখা গিয়েছিল, তাতে তাঁর শার্টের রঙের সঙ্গে ওই কাপড়ের টুকরোর রং মিলে গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই উমরের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। পরে বিস্ফোরণে মৃত চালকের সঙ্গে উমরের মায়ের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হয়। তার পরেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, ওই সাদা হুন্ডাই গাড়িতে বিস্ফোরণের সময় চালকের আসনে ছিলেন উমরই।
ঘটনার দিন সকালেই ওই গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে ফরিদাবাদ থেকে দিল্লি আসেন উমর। দিনভর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন তিনি। আর সন্ধ্যায় লালকেল্লার সামনে সেই গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। আত্মঘাতী হামলা নাকি অসাবধানতাবশত ওই গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দিল্লির ঘটনাকে ইতিমধ্যে সন্ত্রাসবাদী হামলার তকমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।