National News

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই বিধি চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র

কেন্দ্রের দাবি, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট, শেয়ারে নিয়ন্ত্রণ না থাক, অন্তত কোনও বিদ্বেষ, দেশবিরোধী বার্তা, ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়ালে তার উৎস সন্ধানের উপযুক্ত প্রযুক্তি থাকতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৩৩
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক নিউজ, গুজব, বিদ্বেষমূলক বা দেশবিরোধী বার্তা ছড়ানো আটকাতে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ বিধি চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র।মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সরকারের তরফে এ কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ার যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়েদীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই চালাচ্ছে কেন্দ্র। উল্টো দিকে নিয়ন্ত্রণহীন উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ধরে রাখাতে চেষ্টার কসুর নেই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিরও। অবশেষে সেই লড়াইয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই এগোচ্ছে শীর্ষ আদালত। জানুয়ারিতেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শুনানির পর দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে চলা মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

কেন্দ্রের দাবি, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট, শেয়ারে নিয়ন্ত্রণ না থাক, অন্তত কোনও বিদ্বেষ, দেশবিরোধী বার্তা, ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়ালে তার উৎস সন্ধানের উপযুক্ত প্রযুক্তি থাকতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির। এ নিয়ে মাদ্রাজ, বম্বে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। কিন্তু ফেসবুক-হোয়াটস্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে কোনও পোস্ট-মেসেজ ডিক্রিপ্ট বা ডিকোড করার প্রযুক্তি বা ‘কি’ নেই। একাধিক হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলাগুলি সুপ্রিম কোর্টে একত্রিত করে শুনানির আর্জিও জানিয়েছিল মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা।

Advertisement

মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এ নিয়ে শুনানি হবে। যদিও এত দিন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি মতো সব মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের বিরোধিতা করে আসছিল তামিলনাড়ু সরকার।

আরও পড়ুন: সাংসদ, বিধায়ক–সহ প্রশাসনিক কর্তারা গরহাজির, ধামাখালিতে ভেস্তে গেল রাজ্যপালের বৈঠক

আরও পড়ুন: অভিজিতের কৃতিত্বে গর্বিত ভারত, নোবেলজয়ীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন মোদী

এ দিনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল এবং তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষের আইনজীবী দু’জনই বলেন, ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের সেই প্রযুক্তি থাকা উচিত যাতে সরকার চাইলে যে কোনও বার্তা ডিক্রিপ্ট করতে পারে। অর্থাৎসেই বার্তার উৎস, যে প্রথম কোন অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল নম্বর থেকে পোস্ট বা হয়েছে, কারা কারা ফরওয়ার্ড করেছে— ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারে ওই সব সংস্থা। শুনানিতে বেঞ্চের এক বিচারপতির মন্তব্য, সরকার ঘরের চাবি চায়। কিন্তু বাড়ির মালিক বলছে, তাঁর কাছে চাবি নেই।’’

এই সংক্রান্ত মামলার অন্য একটি পক্ষ ইন্টারনেট ফ্রিডম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, নাগরিকদের অধিকার যাতে খর্ব না হয়, সে দিকে যেন নজর দেয় শীর্ষ আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন