NIA

আইএস বোমারুদের খোঁজে এনআইএ তল্লাশি উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে

ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ভাবধারায় অনু্প্রাণিত হরকত-উল-হার্ব-এ-ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের ফিঁদায়ে বা আত্মঘাতী বোমারুদের খোঁজে উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবে নতুন করে  তল্লাশি শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:২৬
Share:

ডিসেম্বর মাসের তল্লাশিতে উদ্ধার অস্ত্র বিস্ফোরক—নিজস্ব চিত্র

ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ভাবধারায় অনু্প্রাণিত হরকত-উল-হার্ব-এ-ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের ফিঁদায়ে বা আত্মঘাতী বোমারুদের খোঁজে উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবে নতুন করে তল্লাশি শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের রামপুর, হাপুর, বুলন্দশহর, মেরঠ, আমরোহা-সহ ৬ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ-র গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে তল্লাশি শুরু হয়েছে লুধিয়ানাতেও।

এনআইএ সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ হাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ আবসার নামে এক যুবককে। মেরঠের বাসিন্দা ওই যুবক গাজিয়াবাদের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: দম্পতিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন প্রতিবেশীর, ভিডিয়ো তুললেন অন্যরা​

গোয়েন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েক বার আবসার কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। সেখানে আইএস মতাদর্শে অনুপ্রানিত বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

হার্ব-এ-ইসলামের ডেরায় উদ্ধার অস্ত্র—নিজস্ব চিত্র।

সূত্রের খবর, আবসারকে জেরা করে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ওই সংগঠন অনেক যুবককে আত্মঘাতী বোমারু হিসাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সেই প্রশিক্ষিত যুবকরা ছাড়াও প্রচুর ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে যাঁরা পরোক্ষ ভাবে মদত দিচ্ছেন ওই সংগঠনকে। তাঁদের অনেকেই রীতিমতো অর্থ সাহায্য করেছেন ওই জঙ্গি সংগঠনকে।

এর আগে ২৬ ডিসেম্বর দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। প্রথম বার জানা যায় আইসিস অনুপ্রাণিত সংগঠন হার্ব-এ-ইসলামের কথা। গোয়েন্দারা দাবি করেন, রাজধানী দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আত্মঘাতী হামলা চালানোর ছক কষছিল ওই সংগঠন। পরিকল্পনা করেছিল প্রথম সারির কয়েক জন ভিভিআইপিকে হত্যা করার। ওই তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছিল বিস্ফোরক, আইইডি তৈরির সরঞ্জাম, আইইডি তৈরির স্টিলের কৌটো-সহ আইইডি তৈরির প্রশিক্ষের ভিডিয়ো।

আরও পড়ুন: এলাকা দখলের হুমকির জের, ঘুমন্ত অবস্থায় রামুয়ার শাগরেদের গলা কাটে আততায়ীরা

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে ওয়্যারলেস কলিং বেল, রিমোট কন্ট্রোলে চলা খেলনা গাড়ি। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছিল, এগুলি দিয়ে দূর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের ছক করেছিল তারা।

এনআইএ সূত্রে খবর, জেরা থেকেই বেশ কয়েক জন প্রশিক্ষিত ফিঁদায়ে বোমারুর নাম উঠে আসে। সঙ্গে জানা যায় হার্ব-এ-ইসলামের অন্য একটি মডিউলের কথা। সেই অনুযায়ী সাত জায়গায় এ দিন হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন