পথ সুরক্ষায় সনিয়াকে পাশে চান নিতিন

গডকড়ী ওই মন্তব্য করলেও যে ভাবে ওই বিলে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে তাতে প্রতিটি বিরোধী দল ওই বিলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের মতে, ওই বিলে রাজ্যের একাধিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ০২:৩৬
Share:

বক্তা: লোকসভায় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে। পিটিআই

ফি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। খোদ সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। ছবিটি পাল্টাতে এ নিয়ে কড়া আইন আনার পক্ষপাতী কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্যগুলির আপত্তিতে আটকে রয়েছে মোটরযান আইন (মোটর ভেহিক্‌ল অ্যাক্ট) সংশোধনী বিল। ওই বিল যাতে দ্রুত দিনের আলো দেখে সে জন্য আজ লোকসভায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর সাহায্য চাইলেন গডকড়ী।

Advertisement

গত বছরে গোটা দেশে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার প্রায় ১.৪৭ লক্ষ মানুষ। তার আগের বছরে ওই সংখ্যাটি ছিল ১.৫০ লক্ষ। ছবিটি বদলাতে ৩০ বছর আগের মোটরযান আইন সংশোধন করে পরিবহণ আইন ভাঙার ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। গাড়ি চালানোর সময়ে আইন ভাঙলে চড়া জরিমানারও সুপারিশ করা হয়েছে ওই বিলে। নিয়মিত ভাবে ভুয়ো লাইসেন্স ধরার পাশাপাশি লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াটি ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই বিলে। গডকড়ীর মতে, ওই বিলটি পাশ হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিজেও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। চার জায়গায় হাড় ভেঙেছে। তাই আমি চাই বিরোধী বেঞ্চে বসা সনিয়া গাঁধী বিলটি পাশ করাতে আমাদের সাহায্য করুন।’’

গডকড়ী ওই মন্তব্য করলেও যে ভাবে ওই বিলে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে তাতে প্রতিটি বিরোধী দল ওই বিলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের মতে, ওই বিলে রাজ্যের একাধিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি বিজেপি ঘনিষ্ঠ এডিএমকে সাংসদ এম থাম্বিদুরাই বলেন, ‘‘বিলে বলা হয়েছে রাজ্যের অধীনে থাকা আরটিও দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই তাদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে বেসরকারি সংস্থার হাতে গাড়ি নথিভুক্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। আরটিও রাজ্যের অধীনে। সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি হলে রাজ্য ব্যবস্থা নিতে পারবে। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাকে কে নিয়ন্ত্রণ করবে?’’ ক্ষুব্ধ থাম্বিদুরাই বলেন, ‘‘সব ক্ষেত্রেই রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে রাজ্যের অবস্থা এখন পুরসভার মতো। বা তার চেয়েও খারাপ।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement