Kashmir Election

তিন দশকে প্রথম, বয়কটের ডাক ছাড়াই ভোট কাশ্মীরে

গত বছরের অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের পৃথক রাজ্যের মর্যাদা বিলোপের পরে এই প্রথম এখানে কোনও ভোট হচ্ছে।

Advertisement

সাবির ইবন ইউসুফ

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৫৫
Share:

-ফাইল চিত্র।

২৪ নভেম্বর: তিন দশকের লড়াইয়ে বিধ্বস্ত কাশ্মীরে এই প্রথম বয়কটের ডাক ছাড়াই কোনও ভোট হতে চলেছে। জেলা উন্নয়ন পর্ষদের আট পর্বের ভোট শুরু হতে বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। তার আগে পরিস্থিতি থমথমে। তবে অতীতে প্রতিটি ভোটেই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যে ভাবে বয়কটের ডাক দিতেন, এ বার সেই পরিস্থিতি নেই। এখনও পর্যন্ত ভোট বয়কটের কথা তোলেনি কেউই। বরং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে নেমেছে, চাপানউতোরও চলছে।

Advertisement

গত বছরের অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের পৃথক রাজ্যের মর্যাদা বিলোপের পরে এই প্রথম এখানে কোনও ভোট হচ্ছে। জেলা উন্নয়ন পর্ষদ গড়তে গত অক্টোবরে জম্মু-কাশ্মীর পঞ্চায়েতি রাজ আইনে সংশোধনী আনা হয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক বিভাগের তরফে। জেলা উন্নয়ন পর্ষদের ২৮০টি আসনের পাশাপাশি ভোট হবে পুর প্রশাসনের ২৩০টি আসনে। ভোট হবে পঞ্চায়েতের প্রায় ১২ হাজার খালি আসনেও।

ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে ফারুক আবদুল্লার ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’, মেহবুবা মুফতির পিডিপি, সিপিএম, জম্মু-কাশ্মীর পিপল্‌স কনফারেন্সের মতো দলগুলি। তারা গড়েছে ‘পিপ্‌লস অ্যালায়েন্স অব গুপকর ডিক্ল্যারেশন (পিএজিডি)। শুরুতে কংগ্রেস এই জোটে থাকলেও তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার নির্বাচনের আসন বণ্টনের তালিকায় বাদ পড়ায় বেরিয়ে এসেছে পিএজিডি থেকে। তবে স্থানীয় সব দলই কার্যত এক ছাতার তলায় এসেছে। প্রতিপক্ষ, বিজেপি। অনেকেই মনে করছেন, এই ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে স্থানীয় দলগুলির লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নিভার নিয়ে সতর্কতা তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে

পিএজিডি-কে বারবার আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতারা। গত ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘গুপকর গ্যাং চায় জম্মু-কাশ্মীরে বিদেশি শক্তি হস্তক্ষেপ করুক। তেরঙ্গার অপমান করতেও ছাড়েনি তারা। সনিয়া ও রাহুল গাঁধী কি এদের এ সব কাজ সমর্থন করেন? কংগ্রেস আর গুপকর গ্যাং চায়, কাশ্মীরকে আবার সেই সন্ত্রাস আর অশান্তির আবহে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।’’

পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরাও। জম্মু-কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিন্‌হাকে লেখা চিঠিতে পিএজিডি-র আহ্বায়ক মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি জানিয়েছেন, জীবনের ঝুঁকি রয়েছে— এই অজুহাতে তাদের জোটের প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের গতিবিধির উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে প্রশাসন। দলের বৈঠকে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হাফিজ়ের ‘শাস্তি’কে পাত্তা দিচ্ছে না দিল্লি

ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা নাসির আসলাম ওয়ানির দাবি, বিভিন্ন হোটেলে জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে পিএজিডি প্রার্থীদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন ভোটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ এনেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন