অনাস্থা নিয়ে প্রায় রণক্ষেত্র লোকসভা। সনিয়া গাঁধী না থামালে হাতাহাতিই হয়ে যেত।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব অনেক দিন ধরেই আনতে চাইছে বিরোধীরা। কিন্তু হট্টগোলের কারণ দেখিয়ে রোজই অধিবেশন মুলতুবি করে দিচ্ছেন স্পিকার। তবে এত দিন যে টিডিপি, জগন্মোহনের দল হট্টগোল করত, আজ তারা ছিল চুপ। ওয়েলে নেমে হাঙ্গামা করেছে শুধু মোদীর ‘বন্ধু’ দল এডিএমকে। কংগ্রেস, আরজেডি, বাম, সপা-র সাংসদেরা আজ ক্রমিক সংখ্যার ‘প্ল্যাকার্ড’ তুলে দেখান— অনাস্থার পক্ষে আছেন প্রায় সত্তর জন। তবু সেটি উপেক্ষা করেই এডিএমকে-র হট্টগোলের কারণ দেখিয়ে লোকসভা মুলতুবি করেন সুমিত্রা মহাজন।
মুলতুবির ঠিক পরেই চরমে ওঠে অশান্তি । অনেক ক্ষণ ধরে চিৎকার করে কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলে আসছিলেন, ‘‘অনাস্থা প্রস্তাব আনুন, সংখ্যা আছে। বহিষ্কার করুন এডিএমকে সাংসদদের।’’ পিছন থেকে কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল চেঁচিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপির এজেন্ট!’’ লোকসভা মুলতুবি হতেই খড়্গের প্রতি মারমুখী হয়ে ওঠেন এডিএমকে-র সাংসদ পি আর সুন্দরম। খড়্গেকে বলেন, ‘‘আপনি কর্নাটকের সদস্য বলেই কাবেরীর জল আটকানোর পক্ষে।’’ পাশে বসা সনিয়া এগিয়ে এসে কোনও রকমে আড়াল করেন খড়্গেকে। শান্ত করেন ক্ষুব্ধ নেতাদের।