ইউপিএ আমলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
নির্বাচনী প্রচারে টানাপড়েন চলছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও। ২০১৬-র আগে কখনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়নি বলে দাবি করেছে বিজেপি। আবার কংগ্রেসের দাবি, আগেও একাধিক বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। এ সবের মধ্যেই ইউপিএ আমলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল কি না, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের হাতে নেই বলে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
২০১৮ সালে তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা, পেশায় সমাজকর্মী রোহিত চৌধরি। তাতে ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কতগুলি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল এবং তার মধ্যে কতগুলি সফল হয়েছিল, জানতে চেয়েছিলেন তিনি।
এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও)-এর সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। সমস্ত প্রক্রিয়া মিটিয়ে এতদিন পর রোহিত চৌধরিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬-র আগে কোনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য তাদের হাতে নেই।
আরও পড়ুন: অহঙ্কারীকে ক্ষমা করে না দেশ, মোদীকে ‘দুর্যোধন’ তোপ প্রিয়ঙ্কার, পাল্টা কটাক্ষ অমিতের
২০১৬-য় উরি হামলার পর নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। এ বছর নির্বাচনী প্রচারে বার বার সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, মনমোহন সিংহের আমলে ছ’বার এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে দু’বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তা কখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: গগৈকে ক্লিনচিট, তদন্তের রিপোর্ট চাইলেন অভিযোগকারিণী
গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ জানান, “আমাদের সময় একাধিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে। কিন্তু শত্রুপক্ষ নিধনের মধ্যেই তা বেঁধে রেখেছিলাম আমরা। সেনার কৃতিত্ব ভাঙিয়ে ভোট চাওয়ার কথা কখনও ভাবিনি।” কিন্তু তাঁর যুক্তিও খারিজ করে দেয় বিজেপি। তাদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী ছাড়া এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার সাহস দেখাননি।