প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। —ফাইল চিত্র।
যৌন নিগ্রহের অভিযোগ থেকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে ক্লিনচিট দেওয়াকোর্টের অভ্যন্তরীণ কমিটির কাছে তদন্তের রিপোর্ট চাইলেন অভিযোগকারিণী।তদন্তের রিপোর্টের কোনও কপি তাঁকে দেওয়া হবে না এবং তা প্রকাশ্যেও আনা যাবে না বলে গতকালই জানিয়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালতের ওই কমিটি। তার পরেও রিপোর্ট চেয়ে মঙ্গলবার তাদের চিঠি লেখেন ওই মহিলা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন মহিলা কর্মী প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন, তার কোনও সারবত্তা নেই বলে গতকাল গগৈকে ক্লিনচিট দেয় দ্বিতীয় প্রবীণতম বিচারপতি এস এ বোবদে নেতৃত্বাধীন বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই কমিটি। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগকারিণী। চিঠিতে তিনি লেখেন, “কেন মহামান্য বিচারপতিরা আমার অভিযোগে কোনও সারবত্তা কেন খুঁজে পেলেন না, তা জানার অধিকার রয়ে আমার। তদন্তের রিপোর্টের উপরও আমার অধিকার আছে। শুধু তাই নয়, কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ, কোনও ব্যক্তির বয়ান বা অন্য কোনও প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, তারও একটি কপি দিতে হবে আমাকে।”
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের হাতে ইতিমধ্যেই রিপোর্টের একটি কপি তুলে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে সামনে এসেছে। অথচ যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হল, তাঁকেই কেন রিপোর্ট দিতে আপত্তি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অভিযোগকারিণী । তিনি লেখেন, “প্রধান বিচারপতিকে তদন্তের কপি দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি আমি। তাঁকে রিপোর্ট দেওয়া গেলে, আমাকেও দিতে হবে। যিনি যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন, তাঁকেই রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাপারটা অদ্ভূত ঠেকছে আমার।”
আরও পড়ুন: যৌন নিগ্রহ কাণ্ডে ক্লিনচিট প্রধান বিচারপতিকে, প্রতিবাদে বিক্ষোভ সুপ্রিম কোর্টের বাইরে
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থা কাণ্ডে ক্লিনচিট গগৈকে
ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা নেই বলে এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে সরে যান অভিযোগকারিণী। সোমবার গগৈ ক্লিনচিট পাওয়ার তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বিরাট অন্যায় হল। বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারানোর মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমি।’’ যে পদ্ধতিতে গগৈকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকেও ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন জনা তিরিশ আইনজীবী ও সমাজকর্মী। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। তার মধ্যেই এ দিন তদন্তের রিপোর্ট চেয়ে আর্জি জানালেন অভিযোগকারিণী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy