প্রতীকী ছবি।
কাশ্মীরে আইএসের উপস্থিতি আছে না নেই, তা নিয়ে দিনভর ধোঁয়াশা বাড়াল সরকারই। প্রথমে আইএস-যোগের কথা উড়িয়ে দিলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ্য। পরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সেইসঙ্গে স্থানীয় জঙ্গিদের ফের মূলস্রোতে ফেরার ডাক দিলেন বাহিনীর কর্তারা।
শুক্রবার শ্রীনগর-গান্ধেরবাল রোডের জাকুরা মোড়ের কাছে পুলিশের একটি দলের উপর আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান সাব ইনস্পেক্টর ইমরান টাক। খতম হয় মুগিস আহমেদ মির নামে এক জঙ্গিও। শনিবার উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার হাজিনে চান্দেরগির গ্রামে অভিযান চালিয়ে ছয় পাক জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকালের সাফল্য নিয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন সেনার কোর কম্যান্ডার জে এস সান্ধু, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কর্তা মুনির খান ও এস পি বৈদ্য এবং সিআরপি কর্তা জুলফিকার হাসান। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, গতকালের অভিযানের ফলে হাজিনে পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গিদের একটি বড় গোষ্ঠী প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতেও ফের অনুরোধ করেন তাঁরা।
কিন্তু শুক্রবার জাকুরা মোড়ের হামলায় আইএস যোগের প্রশ্ন উঠতেই দেখা দেয় সমস্যা। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএস। তাদের দাবি, এটাই কাশ্মীরে প্রথম আইএস হামলা। কিন্তু স্থানীয় জঙ্গি নেতা জাকির মুসার সংগঠন তেহরিক ই মুজাহিদিনও দাবি করেছে, নিহত জঙ্গি মুগিস আহমেদ মির তাদের কম্যান্ডার ছিল। আজ আইএস যোগের কথা উড়িয়ে দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ্য। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে আইএসের উপস্থিতি আছে বলে আমাদের জানা নেই। তবে এমন কোনও দাবি করা হলে তদন্ত করে দেখা হয়।’’ পরে মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘আইএসের দাবির খবর জানি। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন।’’