হার্দিকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলছে বিরোধী পক্ষ। —ফাইল চিত্র।
জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল পতিদার (পটেল) সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে। ভোটের গুজরাতে কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারেন হার্দিক— এমন জল্পনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। তার পরেই জারি হয়ে গেল গ্রেফতারি পরোয়ানা।
এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। হার্দিক নিজে এখনও মুখ খোলেননি। তবে পতিদার আন্দোলনের অন্য নেতারা সরব হতে শুরু করেছেন। এই গ্রেফতারি পরোয়ানার নেপথ্যে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহই, মন্তব্য আর এক পতিদার নেতা লালজি পটেলের।
২০১৫ সালের একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে। এক বিধায়কের দফতরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে মামলা হয়েছিল হার্দিক-সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে। সেই মামলার তিনটি শুনানিতে হার্দিক হাজিরা দেননি বলে খবর। বুধবার আদালত হার্দিকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আরও পড়ুন: গুজরাতে ভোট ৯ এবং ১৪ ডিসেম্বর, ফল ১৮তে
মঙ্গলবারই শোনা গিয়েছিল, কংগ্রেসের সামনে বেশ কিছু শর্ত রেখেছেন হার্দিক পটেল। কংগ্রেস শর্ত মেনে নিলে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে হার্দিক সদলবলে কংগ্রেসকেই সমর্থন করবেন বলে জোর গুঞ্জন। কিন্তু এই গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হার্দিক পটেলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় রাজনৈতিক বিতর্কও অন্য মাত্রা পেয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে ঠেকাতে মরিয়া অমিত শাহ
পতিদার আন্দোলনের অন্যতম নেতা লালজি পটেলের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছে পরোয়ানা। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র এক দিন শুনানিতে হাজির হননি তিনি। তার জন্য জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হয় কী ভাবে, প্রশ্ন লালজির। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই সম্ভবত এ রকম ঘটল। শুনানির একটা তারিখে হাজির হতে না পারলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়, এমনটা কেউ শোনেননি।’’