এই সেই মাংসখেকো মাছই পাওয়া গেছে পুণের পাভানাতে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
মহারাষ্ট্রের পুণের পাভানা জলাধারে মত্স্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল মাংসাশী মাছ। এই ধরনের শিকারি মাছ সাধারণত দেখা যায় উত্তর আমেরিকায়। তাই মহারাষ্ট্রের জলাধারে এই মাছের উপস্থিতি নিয়ে চিন্তায় সে রাজ্যের মত্স্য দফতর।
পাভানা জলাধারে মত্সজীবীদের জালে যে মাংসাশী মাছটি ধরা পড়েছে সেটি লম্বায় প্রায় ১৭ সেন্টিমিটার। মাছটির ওজন আড়াই কেজি। সেটির সাধারণ মাছের তুলনায় দাঁত লম্বা ও তীক্ষ্ণ। এই ধরনের মাছ আমেরিকান কুমির গোত্রের অন্তর্গত। নাম অ্যালিগেটর গার।
পাভানা জলাশয়ের সেকশন ইঞ্জিনিয়ার এএম গাদোয়াল বলেছেন, ‘‘গত সপ্তাহে মত্সজীবীদের জালে ওঠার পর মাছটিকে আমরা মত্স্য বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁরা জানিয়েছেন কুমীর গোত্রের এই মাছ জলাশয়ের অন্য মাছকে খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে।’’
আরও পড়ুন: রাহুলকে ‘পাপ্পু’ বলায় ঝগড়া লেগে গেল দুই জনপ্রতিনিধির!
ফিশারি ডেভেলপমেন্ট অফিসার জনক ভোঁসলে জানিয়েছেন, ‘‘কুমির গোত্রের এই ধরণের মাছ জলাশয়ের জীব বৈচিত্রকে ধ্বংস করে দেয়।’’ তাছাড়া জলে লবণের মাত্রার তারতম্যের সঙ্গে এদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা খুব বেশি। অন্য মাছের থেকে এরা অনেক দ্রুত গতিতে চলতে পারে জলের মধ্যে। ফলে এদের শিকার করার ক্ষমতা মারাত্মক রকমের বেশি।
তাই পাভানা জলাশয়ে এর উপস্থিতি অফিসারদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের মাংসাশী মাছ আর পাওয়া গেলেই তাঁদের খবর দেওয়ার জন্য মত্সজীবীদের বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে সিপিএমের কৃষক আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলার আশায় কংগ্রেস
কিন্তু উত্তর আমেরিকার এই মাছ পুণের জলাশয়ে এল কী করে?
এ ব্যাপারে জনক ভোঁসলে জানিয়েছেন, ‘‘অ্যাকুয়ারিয়ামে রাখার জন্য অনেকে এই ধরনের মাছ কিনে থাকেন। সম্ভবত এ রকমই কেউ পাভানার জলে সেই মাছ ছেড়ে দিয়েছে।’’
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)