—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
২০১৪ সালে ছিল ৪৬। কিন্তু ২০২২ সালে যখন বাঘগণনা করা হয়, দেখা যায়, একধাক্কায় সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৭। কিন্তু গত তিন বছরে বাঘের সংখ্যা আবার দ্বিগুণ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। ২০২২ থেকে এখনও পর্যন্ত ওই রাজ্যে বাঘের সংখ্যা ১৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫।
ছত্তীসগঢ়ে চারটি বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল— ইন্দ্রাবতী (বিজাপুর), উদান্তি-সীতানদী (গড়িয়াবন্ধ-ধামতারি) আচানকমার (মুঙ্গেলি) এবং গুরু ঘাসিদাস-তামোর পিংলা। সম্প্রতি রাজ্যের বন্যপ্রাণ কল্যাণ বোর্ডের ১৫তম বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও। বৈঠকে মুখ্য বনপাল অরুণ কুমার পাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ্যে বাঘের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। রাজ্যের বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঘের সংরক্ষণের বিষয়ে আরও বেশি পদক্ষেপ এবং বাঘের সংখ্যা যাতে আগামী দিনে আরও বাড়ে, তা নিয়েও নানা পদক্ষেপ করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্য বনদফতর সূত্রে খবর, আচানকমার বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্রে বাঘের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মুখ্য বনপাল জানিয়েছেন, আশার বিষয় এটাই যে, কোনও বাঘকে অন্য রাজ্য থেকে আনা হয়নি। তবে বনাধিকারিকরা মনে করছেন, কিছু বাঘ নতুন আশ্রয়ের খোঁজে ছত্তীসগঢ়ে এসেছে। আর তার পর থেকে এই রাজ্যেই থেকে গিয়েছে। তার জন্যও সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে সংখ্যা যাতে আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য উদান্তি-সীতানদী এবং গুরু ঘাসিদাস-তামোর পিংলা সংরক্ষণ কেন্দ্রে মধ্যপ্রদেশ থেকে বাঘ আনানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অনুমোদনও দিয়েছেন।
শুধু বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করাই নয়, বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে কী ভাবে পর্যটন বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। গত বছরেই গুরু ঘাসিদাস-তামোর পিংলাকে দেশের ৫৬তম বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করে ছত্তীসগঢ় সরকার।চারটি জেলা জুড়ে বিস্তৃত এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম। রাজ্য বন দফতর সূত্রে খবর, আচানকমার সংরক্ষণ কেন্দ্রে বাঘের সংখ্যা ১৮, গুরু ঘাসিদাসে ৭, ইন্দ্রাবতীতে ৬, ভোরামদেও অভয়ারণ্যে ৩ এবং উদান্তিতে একটি বাঘ রয়েছে। বাঘের পাশাপাশি বুনো মহিষের সংখ্যা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি ছত্তীসগঢ়ের রাজ্য প্রাণী।