(বাঁ দিকে) অভিযুক্ত দেবাশিস পাত্র, (ডান দিকে) বাড়ির পিছনের সেই জায়গা যেখানে স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুন করার পর পুঁতে রাখা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুনের পর তাঁদের দেহ লোপাট করার জন্য বাড়ির পিছনে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেন। তার পরেও কারও যাতে সন্দেহ না হয়, সেই খোঁড়া জায়গায় কয়েকটি কলাগাছও লাগিয়ে দেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় শেষমেশ পুলিশের জালে পড়তে হল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের যুবক দেবাশিস পাত্রকে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ের পর থেকেই দেবাশিস এবং তাঁর স্ত্রী সোনালি দালালের মধ্যে অশান্তি হত। দিন কয়েক আগে সেই অশান্তি চরমে ওঠে। জামাইয়ের অত্যাচারের খবর পেয়ে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন সোনালির মা সুমতি। সেখানে বেশ কিছু দিন থাকেন। সোনালিকে নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়িতে যান দেবাশিস। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিটমাট হয়। তার পর সোনালিকে আবার ফেরত পাঠানোর জন্য রাজি হয়ে যান সুমতি।
দেবাশিসের সঙ্গে আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান সোনালি। দু’দিন পর সুমতিও মেয়ের খবর নিতে জামাইয়ের বাড়িতে যান। ১৯ জুলাই রাতে স্ত্রী এবং শাশুড়ি যখন ঘুমোচ্ছিলেন, তখন তাঁদের দু’জনে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ ওঠে দেবাশিসের বিরুদ্ধে। তার পর সেই দেহ বাড়ির পিছনে বাগানে নিয়ে যান। মাটি খুঁড়ে সেই দেহ পুঁতে দেন। তার পরের দিন বেশ কয়েকটি কলাগাছ নিয়ে এসে ওই জায়গায় পুঁতে দেন। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই জায়গা খুঁড়তেই সোনালি এবং সুমতির দেহ উদ্ধার হয়। তার পরই গ্রেফতার করা হয় দেবাশিসকে।