কেরলে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ফসিলার দেহ। ছবি: সংগৃহীত।
এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মহিলার স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। মহিলার উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার কেরলের ত্রিশূরে শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর আগে মাকে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল, “আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। না হলে ওরাই আমাকে মেরে ফেলবে।”
মেয়ের মৃত্যুর পরে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তোলেন মৃতের মা। স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। ওই হোয়াটস্অ্যাপ মেসেজও পুলিশকে দেখান। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মেসেজে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। মহিলা তাঁর মাকে জানান, তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর অত্যাচার বন্ধ করেননি। এমনকি স্বামী বার বার তাঁর পেটে লাথি মেরেছেন। হাতও ভেঙে দিয়েছেন। এ ছাড়া কদর্য ভাষায় গালিও দেওয়া হত তাঁকে। শেষে একটি মেসেজে ওই বধূ লেখেন, তিনি নিজেকে শেষ না করলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁকে মেরে ফেলবেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গার্হস্থ্য হিংসা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা-সহ একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের স্থানীয় এক আদালতে পেশ করা হলে বিচারক বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি দাম্পত্য কলহ এবং গার্হস্থ্য হিংসার জেরে এমন বেশ কিছু ঘটনার অভিযোগ উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সপ্তাহ দুই আগেই উত্তরপ্রদেশের বাগপতে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক বধূর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনাতেও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে মূলত শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচার, মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছিলেন মহিলা। কী ভাবে তাঁকে দিনের পর দিন গঞ্জনা এবং লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করে গিয়েছিলেন তিনি।