স্ত্রীর উপর হামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বালেশ্বরের পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।
প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা মেটাতে। কিন্তু সেখানেও অশান্তি। শেষে অশান্তির জেরে রাস্তার মধ্যেই স্ত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে দিলেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলা বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। ওড়িশার বালেশ্বরের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী শেখ আমজাদকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কটকের বক্সী বাজার এলাকার বাসিন্দা ৫২ বছর আমজাদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ২২ বছর বয়সি পিঙ্কি খাতুনের। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। গত কয়েক মাস ধরে আলাদাই থাকতেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বালেশ্বরে এসে থাকতে শুরু করেন। স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা মেটাতে সম্প্রতি কটক থেকে বালেশ্বরে আসেন আমজাদ। স্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। বালেশ্বরের পাঠান মহল্লা এলাকায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতেই পকেট থেকে ছুরি বের করে তা দিয়ে স্ত্রীর গলায় আঘাত করেন অভিযুক্ত।
রক্তাক্ত অবস্থায় পিঙ্কি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্ত্রীকে ওই অবস্থাতেই রাস্তায় ফেলে পালানোর চেষ্টা করছিলেন আমজাদ। কিন্তু আশপাশের পথচারীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে তাঁরাই থানায় খবর দেন এবং অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই জখম পিঙ্কিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। খবর দেওয়া হয় মহিলার বাড়িতেও। আপাতত বালেশ্বরের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মহিলা।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এই হামলার নেপথ্যের কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করছিলেন স্বামী। সেই নিয়ে ঝামেলার জেরেই স্ত্রীর উপর চড়াও হন তিনি। হামলায় ব্যবহৃত ছুরিটি ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।